চলতি বছর ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে জনবল সংকট রয়ে গেছে। তাই চলতি বছরেই পর্যায়ক্রমে ১০ হাজার চিকিৎসক এবং  ৪০ হাজারের বেশি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেবে সরকার।

রবিবার রাজধানীর বিএমএ সম্মেলন কক্ষে দেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। দেশের সর্বত্র বিস্তার লাভ করেছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার নেটওয়ার্ক। এমন মজবুত  অবকাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের মাত্রার ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবকাঠামোর উন্নয়ন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হ্রাস, ওষুধের সরবরাহ বৃদ্ধি, হেলথ কমিউনিটি ক্লিনিক চালু এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের মন্ত্রী পরিষদ থেকে জাতীয় পার্টির (জাপা) সদস্যরা পদত্যাগ করবে কি করবেন না এটা নিয়ে আওয়ামী লীগ বিচলিত নয়। তবে এই মুহুর্তে তারা সরকার থেকে পদত্যাগ করে কি করবে? তারা কি অর্জন করবে? এখন পদত্যাগ করার কোন অর্থ হয় না। তারা পদত্যাগ করলে রাজনীতিতে কোন সুফল বয়ে আনবে না। তাদের জন্য কোন সুফল আসবে না।

তিনি বলন, জাপা সরকারের থেকে সংসদ এবং সংসদদের বাহিরে থেকে সরকারের সমালোচনা করছে। আবার গঠনমূলক নানা পরামর্শ দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করছে। তাদের দলের অনেক সদস্য সরকারের সমালোচনা করেছে। তারা এক সঙ্গে সরকার গঠন করেছিল, সহযোগিতার জন্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে নিয়ে কাজ করেছেন। পৃথিবীর অনেক দেশে এমন নজির আছে। এই সময় বিপ্লবী সেজে কোন লাভ হবে না। এখনো তাদের বিরোধী দলের ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে।

তিনি আরো বলেন, আগামীতে চাইলে জাতীয় পার্টি (এ) ৩০০ আসনে নির্বাচন করতে পারে। এরশাদ সাহেব তো বলেছেন, আগামীতে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিবেন। যার যার অবস্থান থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এতে আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলের কোন সমস্যা হবে না।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল) হাবিবুর রহমান, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের মহাসচিব নিখিল মানখিন প্রমুখ।