খুলনায় আধুনিক রেল স্টেশনটি নির্মিত হচ্ছে উন্নত বিশ্বের আদলে। এ স্টেশনে থাকছে দৈনন্দিন সকল সুযোগ সুবিধা। প্রকল্পের আওতায় প্লাটফর্ম লিঙ্কসহ কার পার্কিং এলাকা, ফুটপাতসহ রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বাউন্ডারী দেওয়াল, স্যানিটারী ও প্লাম্বিং ওয়ার্কস, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, পিএবিএ চ্যানেল ও সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ। থাকছে ফুলের বাগান।
বহু কাঙ্খিত এ আধুনিক রেল রেল স্টেশনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে চলতি বছরের জুনে। ইতোমধ্যে স্টেশন ভবন নির্মাণ কাজের প্রায় ৮৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে স্টেশনের ২নং প্লাটফর্মের ছাদে ফাটলযুক্ত স্থানে শুরু হয়েছে রিপিয়ারিংয়ের কাজ। প্লাটফর্মের দুই পিলারের মাঝে অতিরিক্ত একটি করে ভিম বসানোর কাজ চলছে। একই সাথে প্লাটফর্মের ছাদের দু’পাশে টানা ভিম দেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুলনা পাওয়ার হাউজ মোড় এলাকায় নির্মাণাধীন আধুনিক রেল স্টেশনের গত বছরের মার্চে ২নং প্লাটফর্মের ঢালাই করা ছাদের তিনশ’ ১৪ ফুট স্থান জুড়ে একাধিক স্থানে ফাটল দেখা দেয়। এরপর থেকে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বুয়েট’র একটি প্রতিনিধি দল সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং নতুন ডিজাইন করার বিষয়ে পরামর্শ দেন।
তৃতীয় দফায় আগামী জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তমা কন্সট্রাকশন। রেল স্টেশন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের এপ্রিলে। ইতোমধ্যে দু’দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পের পূর্বের ৫৬ কোটি টাকার সাথে আরও ৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে বলে সংম্লি¬ষ্টরা জানিয়েছেন।
রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী বিরবল মন্ডল জানান, আগামী জুনে শেষ হবে প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৮৮.৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আর স্টেশন ভবনের নির্মাণের কাজ প্রায় ৮৬ শতাংশ শেষ হয়েছে। আর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয়েছে প্লাটফর্মের ফাটল ধরা স্থানে কাজ। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হচ্ছে ৯৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর এর মধ্যে শুধুমাত্র স্টেশন ভবনের নির্মাণ ব্যয় ৬০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। অন্যান্য কাজে বাকী টাকা ব্যয় হবে।
নকশা অনুযায়ী খুলনা-যশোর মহাসড়কের পাশেই হচ্ছে স্টেশনের প্রধান গেট। এছাড়া রেলের লাইন হবে ৭টি। রেল স্টেশনে ৩টি প্লাটফর্ম এবং ৩ তলা বিশিষ্ট স্টেশন ভবন থাকছে।