জেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর মাধ্যমে চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬৫ কোটি ২৫ লাখ ৮ হাজার টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। আগামী জুন পর্যন্ত আরো ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হবে। এসব উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে ব্রিজ নির্মাণ, বিভিন্ন সড়ক নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন, ভূমি অফিস নির্মাণ, সাইক্লোন সেল্টার, স্কুল, কালভার্ট নির্মাণ, হাটবাজার উন্নয়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ রয়েছে। বিশেষ করে সড়ক উন্নয়নের মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে মানুষের জীবনমানের অনেক পরিবর্তন এসেছে।
এলজিইডি সূত্র জানায়, এসব উন্নয়ন কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২৩ টাকা ব্যয়ে চরফ্যাসনের চরকুকরী-মুকরী ইউপি অফিস আমিনবাজার খালে ২৬’শ ৫৫ মিটার চেইনেজ ৩০.০০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ। সদরের বাঘমারা আরএইচডি ব্যাংকের হাট ভায়া শরীফ খায়ের হাট সড়ক উন্নয়ন হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৬ টাকা ব্যয়ে। রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়ন ভুমি অফিস নির্মাণ হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ৬১ হাজার টাকা ব্যয়ে। চরফ্যাসনে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ।
এছাড়া ভেদুরিয়া মিস্ত্রি বাড়ি পোল-ফজলু গুরানি বাড়ি ভায়া ভেদুরিয়া আরএনজিপিএস সড়ক উন্নয়ন হয়েছে ১ কোটি ৬০ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে। পংশা জিসি চর ইলিশা তালুকদার জিপিএস সড়ক কালভার্টসহ উন্নয়ন হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার টাকায়। লালমোহনের শশিগঞ্জ বাজার -ছোট ডাওরী ভায়া মাদ্রাসা সড়ক উন্নয়ন হয়েছে কালভার্টসহ ১ কোটি ৩৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকায়। চরকুকরী মুকরী ইউপ অফিস কচ্ছপিয়া বাজার সড়ক উন্নয়ন হয়েছে (অংশ-১) ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৪১ হাজার টাকায়। চরকুকরী মুকরী ইউপ অফিস কচ্ছপিয়া বাজার সড়ক উন্নয়ন হয়েছে (অংশ-২) ৬ কোটি ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।
জেলা এলজিইডি’র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো: আব্দুস সালাম বাসস’কে বলেন, পূর্বে যাতায়াতের অনুপযোগী দূর্গম এলাকায় ব্রিজ, কালভার্ট ও সড়ক নির্মাণে মানুষের চলাচল অনেক সহজ হয়েছে। গামগঞ্জে সড়ক যোগাযোগের ফলে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জীবন মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন মানুষ গ্রামে থেকেই শহরের সুবিধা পাচ্ছে। প্রাইমারি স্কুল নির্মাণ হওয়ায় ঝড়ে পরা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমছে ও শিক্ষার মান বাড়ছে। এছাড়া চলতি অর্থবছরের জুন পর্যন্ত আরো প্রায় ৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।