স্কোয়াশ চাষে সফল নাজমুল

চুয়াডাঙ্গায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে স্কোয়াশের চাষ করা হয়েছে। অল্প খরচ ও স্বল্প সময়ে অধিক উৎপাদন এবং বাজারে চাহিদা থাকায় এ জাতের সবজি চাষ করে খুশি কৃষকরা। পাশাপাশি স্কোয়াশ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন।

সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের কৃষক নাজমুল হুসাইন। এবার প্রথমবারের মতো তার পতিত ২ বিঘা জমিতে বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করেছেন। পরীক্ষামূলক স্কোয়াশের আবাদ করে সফল হয়েছেন তিনি। আবাদের ৭০-৭৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল আসে। বাজারে চাহিদা থাকায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হলেও তার তিনগুণ অর্থ তিনি লাভ করবেন বলে আশা করছেন।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে এ ফসলের আবাদ করা হয়। প্রতি গাছে ৮-১০টি ফল পাওয়া যায়। ফলে খরচের তুলনায় লাভের অংকও বাড়তে থাকে।

বিদেশি এ সবজি স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি করা হচ্ছে। ফল প্রতি ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। শুধু কৃষক নাজমুল নয় তার দেখাদেখি এলাকার অন্য কৃষকরাও আগ্রহী হয়ে সামনের বছর থেকে এ জাতের সবজি আবাদ করবে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।