নোনা সহনশীল ধান চাষে সফল দক্ষিণাঞ্চলের চাষিরা

চিংড়ি চাষের জমিতে নোনা সহনশীল ধান চাষে সফলতার মুখ দেখছেন দক্ষিণাঞ্চলের চাষিরা। খাদ্য ঘাটতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য চিংড়ি চাষের পরিবর্তে ধান চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে ভূমি ও পানিতে নোনার দাপটে এসব জমিতে অনেকদিন ধানের ভালো ফলন হয়নি। এবারে আমন ধানের ভাল ফলন হয়েছে। এই ফসলের মাধ্যমে খাদ্য ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা মিলবে।

আশির দশকে জমিতে নোনাপানি তুলে অপিরকল্পিতভাবে চিংড়ি চাষ শুরু করে দক্ষিণাঞ্চলের প্রভাবশালীরা। এ কারণে কৃষি জমির লবণাক্ততা বেড়ে যায়, ফলে কমে যায় ধান উৎপাদন। আবার চিংড়ি চাষের মুনাফা যায় গুটিকয়েক মানুষের হাতে।

এলাকার ছোট কৃষকরা ধান চাষের চেষ্টা করেও নোনার কারণে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল। তবে সম্প্রতি বদলাতে শুরু করেছে এ চিত্র। নোনা সহনশীল ধানের উদ্ভাবন হওয়ায় এ বছর অনেকেই আমন ধানের আবাদ করেছেন ।

অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষের কারণে এই অঞ্চলের অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে পড়েছিল। এ থেকে রেহাই পেতে কৃষিকেই গুরুত্ব দিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকন আব্দুল লতিফ জানান, অপরিকল্পিত চিংড়ি চাষে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কথা ভেবে গবেষণার মাধ্যমে লবণাক্ত সহনশীল বিভিন্ন ধানের জাত উদ্ভাবন কারা হয়েছে।

এবারের মৌসুমে খুলনা জেলায় ৯৩ হাজার ৬শ ২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়