নীড় কৃষি আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষিতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন

আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষিতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন

খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, যখন হালের বলদ, লাঙল-জোয়ালই ছিল কৃষকের মূল ভরসা। সারাদিন কায়িক শ্রমের বিনিময়ে মাঠে ফলতো সপ্নের ফসল। আধুনিক প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় সেদিন আর নেই। নতুন নতুন যন্ত্রপাতির ব্যবহারে দেশের কৃষিখাতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এসব যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে কৃষকের কমেছে শ্রম ও খরচ, অপরদিকে কয়েকগুণ বেড়েছে উৎপাদন।

অতীতে যখন লাঙল-জোয়াল আর ‘হালের বলদ’ ছিল কৃষকের চাষাবাদের মূল উপকরণ সে জায়গা এখন দখল করে নিয়েছে পাওয়ার টিলার। এখন সনাতন যন্ত্রাপাতি হিসেবে লাঙল-জোয়ালকে প্রদর্শন করা হয় উন্নয়ন মেলায়। ধারণা করা হচ্ছে নতুন প্রজন্ম সচরাচর এসব যন্ত্রপাতি আর দেখেবে না দেখতে হলে যেতে হবে যাদুঘর কিংবা কোন প্রদর্শনী স্টলে। ফেনীতে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন মেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্টলে পরিদর্শন করতে গেলে বাংলানিউজকে এমনটাই জানান কৃষিবিদ ড. খালেদ কামাল।

তিনি পরিচয় করিয়ে দেন মেলায় প্রদর্শিত কয়েকটি আধুনিক যন্ত্রের সঙ্গে। যেগুলোর ব্যবহারে কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ। এসব যন্ত্রের ব্যবহারে কৃষিতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন সম্ভব হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো:-

রাইস ট্রান্সপ্লান্টার

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মতে, নিয়ন্ত্রিত ও নিখুঁতভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণে চারা রোপণ সুবিধার কারণে যন্ত্রটির প্রতি দিন দিন আগ্রহী হয়ে পড়ছে কৃষকরা। রাইস্ ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্র ব্যবহার করে সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বিভিন্ন দূরত্বে ও গভীরতায় চারা রোপণ করা যায়। একজন শ্রমিক ঘণ্টায় প্রায় ৩০-৪০ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ করতে পারে। যন্ত্রটি ব্যবহার করতে জ্বালানি খরচও খুব কম, ঘণ্টায় মাত্র ০.৫-০.৬ লিটার অকটেন প্রয়োজন পড়ে। যন্ত্রটি ব্যবহার করলে বীজতলা তৈরি করার জন্যও আলাদা জমির প্রয়োজন হয় না। বাড়ির উঠানেই বীজতলা তৈরি করা সম্ভব।

ইনক্লাইন্ড প্লেট সিডার

ফসলের জমির সারিতে এ যন্ত্রটির সাহায্যে বীজ বুনলে কম বীজ লাগে, সহজে আগাছা পরিস্কার করা যায়, গাছ বেশি আলো বাতাস পায়