টাঙ্গাইলের চরাঞ্চলগুলোতে কৃষকদের ভুট্টা চাষে দিনদিন আগ্রহ বাড়ছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে চাষ হয়েছে ভুট্টার। যমুনা নদীর বুক চিরে জেগে উঠা টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী, ভূঞাপুর উপজেলার চরের মাঠ জুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে ভুট্টার গাছে সবুজ পাতা। এ যেন সবুজের এক নবদিগন্ত। আর এর সাথে মিশে আছে ঘাম ঝড়া-রোদে পোড়া কৃষকের হাসি। চাষিরা আশা করছেন পরিবেশ অনুকুলে থাকলে এবার ভুট্টার বাম্পার ফলনে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার যমুনা নদী বেষ্টিত চরগুলোতে ১৪শ’ হেক্টর জমিতে ৯৮৪, ৯৮৭, এসিআই ১১১, এলিট, করবি ১০০ ও মিরাকেল জাতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিসের হিসাব মতে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
জানা যায়, উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকরা একটু বেশি লাভের আশায় এসব অধিকাংশ জমিতে তামাক চাষ করে আসছিল। সম্প্রতি কৃষি সম্পসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চামাক চাষে জমির উর্বরতা নষ্ট, পরিবেশ দুষণসহ বিভিন্ন ক্ষতির দিকগুলো তুলে ধরে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে। অন্যদিকে উদ্বুদ্ধ করা হয় একই জমিতে ভুট্টা চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া সম্ভব। কৃষি অফিসের এমন আশ্বাসে এখন দিগন্তজোড়া মাঠে বাতাসে দুলছে সবুজ শ্যামল ভুট্টা আর ভুট্টা। চরাঞ্চলের বিশাল মাঠ জুড়ে সবুজ সমারেহের বাতাসে দোলানো ভুট্টার পাতায় শিশির যেন মুক্তা দানা ঝিলিকের সঙ্গে মিশে আছে কৃষক-কৃষাণির হাসি।
উপজেলার কালিপুর গ্রামের ভুট্টা চাষি আব্দুল লতিফ জানান, এ বছর তামাক চাষ ছেড়ে দিয়ে ভুট্টা চাষ করেছি। গত বন্যা ও পরবর্তী সময়ে ভারি বর্ষণে ফসলে যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলাম তা পুষিয়ে উঠতে পারব। উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ও ভুট্টা চাষি ওয়াহেদ আলী জানান, এ বছর ভুট্টার ভালো ফলনের আশা করছি। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার জন্য কোথাও কোথাও কাটুই পোকার আক্রমণ ছিল। কিন্তু কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সেত দেয়াতে পোকা ভেসে উঠে, পাখি সেগুলো খেয়ে ফেলে। আর কোন সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, নিয়মিত ভুট্টা চাষিদের পরামর্শ এবং সরকারি প্রণোদনা দিয়ে আসছি। যেভাবে কৃষক ভুট্টা চাষে মনোযোগী ও পরিচর্যা করছে অন্য ফসলের তুলনায় তারা দ্বিগুণ লাভবান হবে বলে আশা করছি।
মাছের বাইরেও মেলা এসেছে মেলায় উঠেছে খই, মুড়ি, তিলের বড়ি, সবজি, ফার্নিচার, গৃহস্থালি সামগ্রী, খেলনা সামগ্রী, নানা জাতের দেশীয় খাবারের দোকানসহ গ্রামীণ ঐতিহ্যের দোকান। মেলায় শিশুসহ সকল শ্রেণীর মানুষকে মাতিয়ে তুলেছে বায়োস্কোপ, চরকি খেলা।