অবশেষে সাঘাটা উপজেলা সদর বোনারপাড়া থেকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সদরের সংযোগস্থল আলাই-কাটাখালী নদীর ওপর ত্রিমোহনী ঘাটের সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুটির দু’পাশে সংযোগ সড়কের নির্মাণ কাজও শেষ। আজ বৃহস্পতিবার জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। সেতুটি উদ্বোধনের ফলে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে পাল্টে যাবে সাঘাটা উপজেলার দৃশ্যপট। কমে আসবে দুই উপজেলার মধ্যে সড়কপথের ৭০ কি.মি. পথ। মাত্র ১২ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে সাঘাটা উপজেলাবাসী ২৫ মিনিটের মধ্যেই গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে গিয়ে দেশের যে কোনো অঞ্চলে যেতে পারবেন। প্রসারিত হবে এ এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের। জীবনযাত্রার মানও বাড়বে। এ কারণে সেতুটি উদ্বোধন নিয়ে দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে এখন চলছে আনন্দের আমেজ ও সাজ সাজ রব।
সাঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কনস্ট্রাকশন অব লং ব্রিজ-১, উপজেলা অ্যান্ড ইউনিয়ন রোড্স প্রজেক্টের (এলবিসি) আওতায় ত্রিমোহনী ঘাট সেতুটির নির্মাণ কাজ হাতে নেওয়া হয়। এলজিইডির সবচেয়ে দীর্ঘ এই সেতুটির দৈর্ঘ্য ৩৬০ দশমিক ৪০ মিটার পিসি গার্ডার সেতু। ২৯ কোটি ১২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ঢাকার সুরমা
এন্টারপ্রাইজ সেতুটির নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে। ২০১৩ সালের ২১ অক্টোবর সেতুটি নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।
সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় তিনিই আজ ৭ ডিসেম্বর চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সেতুটি নির্মাণের ফলে এলাকার উৎপাদিত কৃষিপণ্য অতি
সহজেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছানো সম্ভব হবে। ফলে ব্যবসায়ী ও জনসাধারণ উভয়েই লাভবান হবেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, সেতুটির উদ্বোধন ঘিরে দু’পাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। রাস্তায় অসংখ্য তোরণ নির্মাণ ও ফেস্টুুন সাজানো হয়েছে।
ত্রিমোহনী ঘাটের সেতু উদ্বোধনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, সেতুটি নির্মাণের জন্য আমার নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল। অবশেষে সেতুটি নির্মিত হওয়ায় আমি নিজেই গর্বিত যে, জনসাধারণকে দেওয়া আমার অঙ্গীকার পূরণ হলো।