‘পাখি বাঁচাও, প্রকৃতি বাঁচাও’—এমন প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রকৃতি ও পাখি সুরক্ষায় বেশ কয়েক বছর ধরে সামাজিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন আলমগীর হোসেন। তার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নাম ‘সেতুবন্ধন’। শিক্ষার্থী এবং তরুণদের সাথে নিয়ে তার এ লড়াইয়ের শুরু ২০১৩ সাল থেকে। তারা পথসভা, স্কুল-কলেজে ক্যাম্পিং করে শিক্ষার্থী ও তরুণদের প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টি করছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘পাখি সংরক্ষণ সম্মাননা -২০১৬’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আলমগীর।
পাখি ও প্রকৃতির সুরক্ষায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের তরুণ আলমগীর হোসেন এবার তিনদিনের প্রচারণা শেষ করেছেন। বাইসাইকেলে চড়ে সৈয়দপুর উপজেলা হতে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া ও বাংলাবান্ধার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত তিনি এ প্রচারণা চালান। গত ৩১ অক্টোবর হতে ২ নভেম্বর তিন দিন উত্তরের চার জেলা নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় ভ্রমণ করেছেন। এসময় তিনি বিভিন্ন জায়গায় পথসভা, লিফলেট বিতরণ করেন। বেশ কয়েকটি স্কুল-কলেজে আলোচনা সভায়ও অংশগ্রহণ করেন।
আলমগীর হোসেন জানান, পাখি ও প্রকৃতির সুরক্ষায় আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। এ জন্য চাই বেশি বেশি প্রচারণা। সামনে পাখি ও প্রকৃতি বাঁচানোর আহবান জানাতে সাইকেল চালিয়ে গোটা দেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা আছে।
এবারের ক্যাম্পিং সম্পর্কে তিনি বলেন, ক্যাম্পিংয়ের প্রথম দিনে সৈয়দপুর হতে ঠাকুরগাঁও জেলা সদরে পৌঁছাই। পথে রাবেয়া, চম্পাতলি, রানীরবন্দর, বেকিপুল বাজার, ভূষিরবন্দর, দশমাইল ও ঠাকুরগাঁও সদরে বেশ কয়েকটি পথসভা করেছি। দ্বিতীয় দিন ঠাকুরগাঁও হতে সাইকেল চালিয়ে পঞ্চগড় যাওয়ার পথে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক চত্বর, চিনিকল বাজার, শহীদ মিনার চত্বর, কান্তজিউ মন্দির বাজার ও তেঁতুলিয়া বাজারে পথসভা করেছি। তৃতীয় দিনে পঞ্চগড় হতে বাংলাবান্দা জিরো পয়েন্ট যাওয়ার পথে স্থানীয় একদল স্বেচ্ছাসেবক আমার সঙ্গে যুক্ত হয়। এরপর আমরা একত্রে পথচারীদের মাঝে সচেতনতামূলক কয়েক হাজার লিফলেট বিতরণ করি।
পাখি বাঁচাও, প্রকৃতি বাঁচাও প্রচারণা কার্যক্রমে আলমগীরকে শুভেচ্ছা জানান নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল, সৈয়দপুর পৌরসভা মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার ও উপজেলা পরিষদের চেয়্যারম্যান মোখছেদুল মোমিন, বোদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানিউল ফেরদৌস প্রমুখ।