আলোরপথে বরিশালের ২৬০ মাদকসেবী

মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম। আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করানোর পাশাপাশি তাদের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সেলাই মেশিন প্রদান, দোকান নির্মাণসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আত্মসমর্পণকারী ব্যক্তিদের সঙ্গে থানার একজন এসআইয়ের সার্বক্ষণিক যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে করে সপ্তাহে একবার তারা ওই এসআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা জানাতে পারেন। সমাজ কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব ব্যক্তিরা যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন সেজন্য মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।

গত মাস থেকে এ পর্যন্ত ২৬০ জন মাদকসেবীকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এদের মধ্যে ভোলার ৫৫ জন, পটুয়াখালীর ৭৭ জন এবং বরিশালের ১০ উপজেলার ১২৮ জন।

গতকাল বুধবার দুপুরে পুলিশ লাইনসে কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং ও মাদকবিরোধী আলোচনা সভা ও আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম ১২৮ জনকে শপথ বাক্য পাঠ করান। শুরুতে আত্মসমপর্ণকারীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন তিনি। এ সময় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে ৫৮ জনকে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান।

ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মাদক নির্মূলে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিটি থানায় কমিউনিটি পুলিশিং সভা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সভা, মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে একদিকে মাদকের ছোবল থেকে যেমন রক্ষা পাচ্ছে যুব সমাজ তেমনি মাদক মুক্তও হচ্ছে।