ঝিনাইদহে বাড়ির ছাদে বোরো বীজতলা

ঝিনাইদহ জেলায় বাড়ির ছাদে বোরো বীজতলা তৈরি শুরু করেছে চাষিরা, এতে ফলন বেশি এবং উত্পাদন খরচ কম হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নতুন এ প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে হস্তান্তর করছে। তবে এখন পর্যন্ত হাতেগোনা কয়েকজন চাষি এ পদ্ধতি ব্যবহার করছে।

 

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, বাড়ির ছাদে প্লাস্টিকের ট্রের ওপর বীজতলা তৈরি করা হয়। ট্রেরের ওপর আধা ইঞ্চি পুরু করে মাটি দিতে হয়। সামান্য গোবর সার দিয়ে ধান বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। ২০ দিনের মধ্যে চারাগুলো ৪-৫ ইঞ্চি বড় হয়। এ চারা রোপণ যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষেতে রোপণ করতে হয়। সাধারণত মাঠে বীজতলা তৈরি করলে ৪০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগে। তিনি জানান, বোরো ধানের সময়কাল ১৪০ থেকে ১৪৫ দিন। এরমধ্যে কাচথোর থেকে কাটা পর্যন্ত ৬০ দিন লাগে। এ পদ্ধতিতে চারা তৈরি করে রোপণ করলে ৬০ দিন গাছ বাড়ার সময় পায়। এতে প্রতিটি গাছ অনেক কুশি ছাড়ার সময় পেয়ে থাকে। এতে ফলন বেড়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, ছাদে ছাড়াও একই পদ্ধতিতে বাড়ির উঠানেও বীজতলা তৈরি করা যায়। আর বাড়ির মেয়েরা অবসর সময়ে এ বীজতলা তৈরি করতে পারে। আমন মৌসুমেও বাড়ির ছাদে ও উঠানে ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা যায়।

 

তামিনগর গ্রামের চাষি ও কলেজের অধ্যক্ষ খবির উদ্দিন বলেন, সাত বিঘা জমিতে এবার বোরো চাষ করবেন। তিনি চাষিদের মাঝে এ নতুন প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিবেন। এ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি খরচ কম হয় বলে জানান তিনি।