‘এই হেমন্তে কাটা হবে ধান, আবার শূন্য গোলায় ডাকবে ফসলের বান’ সুকান্তের কবিতার এই পংক্তি বাংলার হেমন্তের যেনো চিরচেনা রূপ। নবান্ন হেমন্তের প্রাণ। যদিও বাঙালির নবান্ন উত্সব এখনও শুরু হতে দেরি। গ্রামে আগাম জাতের ধান কাটা-মাড়াই শুরু হওয়ায় নবান্নের ঘ্রাণে মুখর হচ্ছে নালিতাবাড়ীর কৃষক। আগাম জাতের আমন ধান ঘরে উঠায় যেমন অভাব ঘুচছে তেমনি কৃষকের অভাব কমছে গো-খাদ্যের।
উপজেলা কৃষি অফিস ও কৃষকরা জানায়, এবার পোকার আক্রমণ, অতিবৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলের মতো প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে। নানা ধরনের প্রতিকূলতা কাটিয়ে কৃষক আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। তাই এই অঞ্চরের কৃষক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ও আশ্বিন-কার্তিকের অভাব দূর করতে এবার ব্রি-৩৩, বিনা-৭, টিয়া ও ময়না জাতের আগাম ধান আবাদ করেছেন। তাই এসব ধান আশ্বিন থেকে কাটা শুরু হয়েছে। ফলে নবান্নের ঘ্রাণ গ্রামে গ্রামে আগাম ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলার সীমান্তবর্তী পাড়াগাঁও, রূপনারায়নকুড়া, নয়াবিলসহ বেশ কিছু গ্রামে আগাম জাতের ধান কাটা চলছে।
নয়াবিলের কৃষক আবুল কালাম জানান, আমরা অনেকেই এইবার আগাম ধান কাটা শুরু করছি। কিন্তু কামলার দাম বেশি হওনে সমস্যা হইতাইছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরিফ ইকবাল বলেন, উপজেলার অনেক স্থানেই আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে এ বছর কৃষকদের নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। আশা করছি ক্ষতি পুষিয়ে যাবে।