কুমিল্লার গ্রাম থেকে ৭ দিনেই পাওয়া যাবে জমির তথ্য ও খতিয়ান

জমি সংক্রান্ত তথ্য ও খতিয়ান সংগ্রহ, পণ্যের ডিলিং লাইসেন্সসহ যে কোনো আবেদনের জন্য জনভোগান্তি নিরসনে ডিজিটাল সেবা চালুর উদ্যোগ নিয়েছে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন। আজ বুধবার হতে গ্রামে অবস্থান করেও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন করে ৭ দিনে জেলার সেবাগ্রহীতারা জমি সংক্রান্ত তথ্য ও খতিয়ান পাবেন। এতে সেবা প্রার্থীদের দুর্ভোগ ও নানা হয়রানি লাঘবসহ সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। এদিকে এ সেবা পৌঁছে দিতে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে প্রচারণা অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম।

জানা যায়, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের রেকর্ড শাখা থেকে জমির সিএস, এসএ (আরএস), বিএস (বিআরএস) খতিয়ানের নকল (পর্চা) প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দালালদের খপ্পরে পড়ে নানা হয়রানির শিকার হয়ে আসছিল জনসাধারণ। এ দুর্ভোগ নিরসনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচতলায় চালু করা হয় ই-সেবা কেন্দ্র। এতেও জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে খতিয়ানের নকল সংগ্রহের জন্য আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সেবাগ্রহণকারীদের অর্থ ও সময় ব্যয় হতো। বিশেষ করে আবেদন জমা এবং খতিয়ান সংগ্রহের ক্ষেত্রে দুইদিন ও নির্দিষ্ট সময়ে খতিয়ান সরবরাহ না হলে ৩-৪ দিন আসতে হতো। জনগণের এ দুর্ভোগ নিরসন এবং দ্রুত সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভূমি অফিস থেকেই খতিয়ান সরবরাহ করার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। জেলা রেকর্ডরুম শাখা থেকে গত ২১ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত একটি পত্র জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিকট প্রেরণ করা হয়।

জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম জানান, আবেদন দাখিল এবং খতিয়ান সংগ্রহ করতে গিয়ে আর্থিক ব্যয়ের পাশাপাশি আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে সেবাপ্রার্থীদের নানা বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হতো। আমরা জনগণের কাছে সরকারের ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এ কার্যক্রম চালু করছি। এতে সেবা প্রার্থীদের আর কষ্ট করে বারবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসতে হবে না, গ্রামে থেকে স্বল্প ব্যয়ে ও স্বল্প সময়ে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে আবেদন করে ৭ দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় থেকে খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারবেন।