স্বল্পআয়ের মানুষদের জন্য ঢাকার উপকণ্ঠে ফ্ল্যাট হচ্ছে

একনেকে ১৫ হাজার ২২১ কোটি টাকার ৮ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) ১৫ হাজার ২২১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ার-পারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রকল্পগুলোর বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। তিনি বলেন, উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনসাধারণের জন্য এপার্টমেন্ট নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্পটি ২০১১ সালে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের জুন মেয়াদে ৯ হাজার ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্য থাকলেও গতকাল এর ব্যয় ২১ শতাংশ বাড়িয়ে ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সভায় জানানো হয়েছে, রেট সিডিউল পরিবর্তন ছাড়াও বিভিন্ন অংশের সংযোজন এবং কিছু ফ্ল্যাটের আকার পরিবর্তনের কারণে এর ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ১২৫০ ও ১০৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের পাশাপাশি ৮৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন, যাতে ফ্ল্যাটের দাম আরো কমে আসে এবং সবাই পেতে পারে। এতে ফ্ল্যাটের সংখ্যা কিছু বাড়তে পারে। তবে তা এখন বলা সম্ভব নয় কতটি ফ্ল্যাট বাড়বে।ফ্ল্যাটের মূল্য সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের নির্মাণ খরচ পড়বে ৪ হাজার ৫০০ টাকা। তবে রাজউক তা ৪৮০০ টাকা করে বিক্রি করবে। সে হিসেবে প্রতিটি ফ্ল্যাটের দাম পড়বে ৪০ লাখ থেকে ৬০ লাখ টাকা। রেজিস্ট্রেশন খরচ এর বাইরে থাকবে। উত্তরা এলাকায় জমির দাম বেশি হওয়ায় ফ্ল্যাটের দাম বেশি পড়ছে বলে জানান মন্ত্রী। তবে আরো নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে আবাসন সুবিধা পেতে পারে তার জন্য ঢাকার উপকণ্ঠে যেখানে জমির দাম কম সেসব এলাকায় আবাসন তৈরির উদ্যোগ নেবে সরকার।

 

সভায় জানানো হয়, দেশব্যাপী সকল উপজেলায় গ্রামীণ বাজারের অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে। এজন্য ১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে চলতি অর্থবছর হতে শুরু হয়ে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। দেশের ৪৯১টি উপজেলার প্রতি উপজেলায় কমপক্ষে ১টি করে তিনতলা ভবনের ৫২০টি গ্রামীণ বাজার নির্মাণ করা হবে। এই  প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে গ্রামীণ বাজার উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষি ও অকৃষি পণ্য বাজারজাতকরণের সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
সভায় ২১৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে জামালপুর-কালিবাড়ী-সরিষাবাড়ী সড়ক প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৯১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সভায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।