গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করার উদ্যোগ * ব্যয় ১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা * একনেকে উঠছে মঙ্গলবার
দেশের প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মডেল গ্রামীণ বাজার তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ‘দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। এর আওতায় তিন তলাবিশিষ্ট ৪ হাজার-১০ হাজার বর্গফুট আয়তের মোট ৫২০টি গ্রামীণ বাজার তৈরি করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। এটি বাস্তবায়নের ফলে কৃষি ও অকৃষি পণ্যের বাজারজাতকরণের সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া গ্রাম পর্যায়ে ব্যবসার উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি এবং স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এটি উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ.এন.সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজার অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। ফলে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ, কৃষিপণ্য ন্যায্যমূল্যে প্রাপ্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাবে। সামগ্রিকভাবে পল্লী এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক হবে। এছাড়া প্রকল্পটির ব্যয় ও বরাদ্দ স্থানীয় সরকার বিভাগের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রত্যয়ন করেছে। এসব বিবেচনায় প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি কৃষির ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে হলে গ্রামীণ হাট বাজার নির্মাণ জরুরি। ফলে গ্রামীণ কৃষক ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা (ব্যবসায়ী) সুযোগ পেয়ে থাকে। বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ সুবিধার অবাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের নিকট স্বল্প মূল্যে উৎপাদন স্থলেই বিক্রি উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অন্যদিকে স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় গ্রামীণ বাজারে মালামালের সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় ভোক্তাদের অধিক মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি গ্রামীণ বাজারে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার বর্গফুটের বাজার ও অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো সুবিধা দেয়া গেলে কৃষি ও অকৃষি পণ্যের সহজ বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষকরা প্রতিযোগিতামূলক দামে তার পণ্য বিক্রি করতে পারবে। এজন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পটি চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নতুন অননুমোদিত প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত ২ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রতিটি বাজারে একক ব্যয় ৩ কোটি টাকা করে নির্ধারণের সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এছাড়া প্রকল্পে পরামর্শক সেবা খাতের যৌক্তিকতা, পরামর্শকের কর্মপরিধি এবং এ খাতের ব্যয়ের যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। সার্ভে ও ইনভেস্টিগেশনের জন্য বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পে ৫ একর ভূমি অধিগ্রহণের পরিবর্তে ১ একর ভূমি অধিগ্রহণ এবং এ খাতে এক কোটি টাকা বরাদ্দ রাখতে হবে। প্রকল্পের কার্যক্রম মনিটরিং ও মূল্যায়নের জন্য মধ্যবর্তী মূল্যায়ন কমিটি গঠনের রূপরেখাসহ এ খাতে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে দেশীয় প্রশিক্ষণ খাতে ৫০ লাখ টাকা, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ খাতে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। সভায় এসব সুপারিশ পালন করা হলে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ১ হাজার ২০০টি গ্রোথ সেন্টার ও গ্রামীণ হাটবাজার নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটি সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, দেশের মোট ৪৯১টি উপজেলায় মোট ৫২০টি গ্রামীণ বাজার নির্মাণ করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য এ.এন.সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজার অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। ফলে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ, কৃষিপণ্য ন্যায্যমূল্যে প্রাপ্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও পরিবহন ব্যয় হ্রাস পাবে। সামগ্রিকভাবে পল্লী এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক হবে। এছাড়া প্রকল্পটির ব্যয় ও বরাদ্দ স্থানীয় সরকার বিভাগের মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রত্যয়ন করেছে। এসব বিবেচনায় প্রকল্পটি অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি কৃষির ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করতে হলে গ্রামীণ হাট বাজার নির্মাণ জরুরি। ফলে গ্রামীণ কৃষক ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা (ব্যবসায়ী) সুযোগ পেয়ে থাকে। বর্তমান বাজার ব্যবস্থায় কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ সুবিধার অবাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের নিকট স্বল্প মূল্যে উৎপাদন স্থলেই বিক্রি উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অন্যদিকে স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় গ্রামীণ বাজারে মালামালের সরবরাহ অপ্রতুল হওয়ায় ভোক্তাদের অধিক মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কিনতে হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি গ্রামীণ বাজারে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার বর্গফুটের বাজার ও অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো সুবিধা দেয়া গেলে কৃষি ও অকৃষি পণ্যের সহজ বাজারজাতকরণের মাধ্যমে কৃষকরা প্রতিযোগিতামূলক দামে তার পণ্য বিক্রি করতে পারবে। এজন্য প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পটি চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নতুন অননুমোদিত প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত ২ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রতিটি বাজারে একক ব্যয় ৩ কোটি টাকা করে নির্ধারণের সুপারিশ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এছাড়া প্রকল্পে পরামর্শক সেবা খাতের যৌক্তিকতা, পরামর্শকের কর্মপরিধি এবং এ খাতের ব্যয়ের যৌক্তিকভাবে নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। সার্ভে ও ইনভেস্টিগেশনের জন্য বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পে ৫ একর ভূমি অধিগ্রহণের পরিবর্তে ১ একর ভূমি অধিগ্রহণ এবং এ খাতে এক কোটি টাকা বরাদ্দ রাখতে হবে। প্রকল্পের কার্যক্রম মনিটরিং ও মূল্যায়নের জন্য মধ্যবর্তী মূল্যায়ন কমিটি গঠনের রূপরেখাসহ এ খাতে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে দেশীয় প্রশিক্ষণ খাতে ৫০ লাখ টাকা, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ খাতে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা যেতে পারে। সভায় এসব সুপারিশ পালন করা হলে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ১ হাজার ২০০টি গ্রোথ সেন্টার ও গ্রামীণ হাটবাজার নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটি সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, দেশের মোট ৪৯১টি উপজেলায় মোট ৫২০টি গ্রামীণ বাজার নির্মাণ করা হবে।