স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন থেকে তরুণ উদ্যোক্তা

একদিকে বেকারত্বের তিক্ত অভিজ্ঞতা, অন্যদিকে সফলতার আনন্দকে ধারণ করে জীবনের পথে এগিয়ে চলেছেন ধামরাইয়ের এক তরুণ উদ্যোক্তা ও সফল ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম ফারুক। উচ্চশিক্ষা সমাপনান্তে চাকরি খুঁজে বিফল হয়ে নিজ গ্রাম কেলিয়ায় বাবার বসানো ছোট্ট ধান ভাঙানোর মেশিনটিকে আঁকড়ে ধরেন ফারুক। মাত্র পঞ্চাশ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন এই শিক্ষিত তরুণ। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সফলতার সম্ভাবনা হাতছানি দিয়ে ডাকে তাকে। সেখান থেকেই সেই তরুণ উদ্যোক্তা আজ আটোরাইস মিলসহ বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন তার নিজ প্রচেষ্টা ও শুভাকাঙ্খীদের সহযোগিতায়।

আত্মপ্রত্যয়ী ও কঠোর পরিশ্রমী এই তরুণ উদ্যোক্তা কেবল নিজের ভাগ্যেরই পরিবর্তন ঘটাননি, বেকারত্বের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও যন্ত্রণাকে কাজে লাগিয়ে তিনি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করেছেন। অর্থাত্ প্রায় সাড়ে সাতশ’ বেকার যুবক কাজ করছে তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং আগামী দু’বছরের মধ্যে তার উদ্যোগে আরো পাঁচ হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা জাহান অটো রাইসমিল, কুলসুম ফিড লি.,এগ্রোমাল্টি প্রসেস লি., বায়ুসেল লিঃ, সবই তার মেধা, শ্রম, প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান। বিনয়ী ও শান্ত স্বভাবের ফারুক বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পাশাপাশি নিজেকে সমাজসেবায়ও ব্রত রেখেছেন । অসহায় দরিদ্র বিধবাদের অর্থ সাহায্য, দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার দায়িত্ব নেওয়াসহ অন্যান্য সমাজ কর্মও করছেন তিনি। সহসাই অসহায় দরিদ্রদের কম খরচে চিকিত্সার জন্য একটি মেডিক্যাল সেন্টার স্থাপনের স্বপ্নও দেখছেন তিনি। বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সমাজ সেবা, সহযোগিতার মাধ্যমে এলাকায় অসহায়দের অভিভাবক হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন এই তরুণ উদ্যোক্তা ফারুক।

এ প্রসঙ্গে ফারুক বলেন, বেকারত্বের তিক্ত স্বাদ আমাকে প্রতিষ্ঠিত হতে এবং বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে অনুপ্রাণিত করেছে। চাকরি না করেও শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে সততা, নিষ্ঠা, প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত এবং মানব কল্যাণ করা সম্ভব।