চলতি মৌসুমে রাজবাড়ী জেলার পাঁচ উপজেলায় হলুদের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব হলুদ রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে কৃষকের ভালো লাভও হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত মৌসুমে রাজবাড়ীতে ১ হাজার ২০৯ হেক্টর জমি থেকে হলুদ উৎপাদন হয়েছিল ৪ হাজার ২৩০ টন। আর চলতি মৌসুমে রাজবাড়ীতে ১ হাজার ৪০৩ হেক্টর জমি থেকে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৯১০ টন।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পানি জমে থাকে না এমন উঁচু জমিতে হলুদের আবাদ ভালো হয়। কারণ পানি জমলে হলুদের গাছ মরে যায় ও পাতা পোড়ারোগ হয়। এবার তারা পরিত্যক্ত কিন্তু উঁচু এমন জমিতেও হলুদের আবাদ করেছেন।
বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের কৃষক রুন্ন খান জানান, গত মৌসুমে তিনি এক বিঘা জমিতে হলুদ আবাদ করেছিলেন। এতে বীজ ও সারসহ সব মিলিয়ে খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা। এ থেকে উৎপাদিত হলুদ বিক্রি করেন ৬৫ হাজার টাকায়। এতে খরচ খরচা বাদ দিয়ে লাভ হয় ৫০ হাজার টাকা। তাই এবার তিনি চার বিঘা জমিতে হলুদের আবাদ করেছেন।
একই এলাকার আরেক কৃষক আনোয়ার কাজী জানান, হলুদ চাষ লাভবান হওয়ায় দিন দিন এ অঞ্চলে এর আবাদ বাড়ছে। একটু যত্ন নিলেই প্রতিবিঘা জমিতে ৬০-৬৫ মণ হলুদ উৎপাদন হয়। আর বাজারে হলুদ বিক্রি করতেও বিরম্বনায় পড়তে হয় না। প্রতি মণ কাঁচা হলুদ ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সদর উপজেলার অধিকাংশ এলাকা উঁচু হওয়ায় এবার হলুদের আবাদ ভালো হয়েছে। পাতাপোড়া ছাড়া হলুদের তেমন কোনো রোগও নেই। হলুদ আবাদে জেলার কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।