দু’মাসে সেবা রফতানি বেড়েছে ২৪%

পণ্যের পাশাপাশি সেবা রফতানিতেও কদর বাড়ছে বাংলাদেশের। বিভিন্ন ধরনের সেবা রফতানি হচ্ছে কয়েক বছর ধরেই। এখন প্রায় প্রতি মাসেই রফতানি খাতে যুক্ত হচ্ছে নতুন সেবা। শুরুতে নামমাত্র আয় হলেও আস্তে আস্তে তা বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে বিভিন্ন ধরনের সেবা রফতানি বেড়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে রফতানি বেশি হয়েছে ৬ শতাংশের বেশি এবং আয় এসেছে প্রায় ৬২ কোটি ডলার। একক মাস হিসেবে গত আগস্টে ১৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩২ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৮ শতাংশ বেশি রফতানি হয়েছে এ সময়।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সেবা রফতানি-সংক্রান্ত মাসিক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। পণ্যের মতো সেবা রফতানির পরিসংখ্যানও এখন থেকে নিয়মিত প্রকাশ করছে ইপিবি। রফতানিতে সেবা বলতে বোঝায়, বিভিন্ন ধরনের পরিবহন, যেমন- সমুদ্র-রেল-সড়ক-আকাশ পরিবহন, পর্যটন, ব্যাংক-বীমা, টেলিযোগাযোগ- এ তালিকায় নির্মাণ, কম্পিউটার ও তথ্যসেবা, মেধাস্বত্ব ইত্যাদি। এসব সেবার সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু পণ্যকেও সেবার আওতায় বিবেচনা করা হয়। গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) সেবা রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩১৬ কোটি ডলারের বেশি।

ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে সবচেয়ে বেশি ১৯ কোটি ডলার রফতানি হয়েছে সেবার সঙ্গে সম্পর্কিত পণ্য রফতানি থেকে। আগের বছর একই সময় থেকে তা ১ শতাংশ বেশি। যদিও এ খাতের এ সময়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। টেলিযোগাযোগ সেবা থেকে সাড়ে ছয় কোটি ও কম্পিউটার সেবা থেকে তিন কোটি ডলার রফতানি আয় এসেছে। এ ছাড়া বড় আয়ের সেবা খাত হিসেবে পরিবহন সেবার মধ্যে সমুদ্র ও বিমান পরিবহন থেকে প্রায় সমপরিমাণ তিন কোটি ডলার করে রফতানি হয়েছে। পর্যটন, আর্থিক সেবা ও বীমা খাতেও আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি বেড়েছে।

ইপিবির সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা সমকালকে জানিয়েছেন, আয় বাড়লেও সেবা রফতানিতে খুব সুবিধাজনক অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। যেমন- দেশের চিকিৎসাসেবা উন্নত হলে এ দেশে সেবা নিতে আসতেন বিদেশিরা। এখন চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হচ্ছে। শিক্ষাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।