‘জল সবুজে ঢাকা’ প্রকল্পের উদ্বোধন

রাজধানীর ৩১ পার্ক ও খেলার মাঠ আধুনিকায়নের লক্ষ্যে গৃহীত ‘জল সবুজে ঢাকা’ প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, শিগগিরই ঢাকাবাসী পার্ক ও খেলার মাঠে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পাবে। সে লক্ষ্যে ১৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকার পার্ক ও খেলার মাঠগুলো দৃষ্টিনন্দন রূপ লাভ করবে। বুধবার পুরান ঢাকার গোলাপবাগ মাঠের আধুনিকায়ন ও সংস্কার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন এসব কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু আহমেদ মান্নাফী, ডিএসসিসির প্রধান প্রকৌশলী ফরাজি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব, পার্ক ও খেলার মাঠ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু প্রমুখ।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল। ‘জল সবুজে ঢাকা’ প্রকল্প সম্পর্কে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকার পার্ক ও খেলার মাঠগুলো অসাধারণ রূপ লাভ করবে। নারী, শিশু এবং বয়স্ক সবার জন্যই এ মাঠে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে। বৃক্ষরোপণ করে প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে। ফলে এসব মাঠে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, হাঁটাহাঁটি করার সুযোগ পাবেন। আর গোলাপবাগ মাঠের বিশেষ্যত্ব হচ্ছে- এ মাঠে থাকবে ভিআইপি গ্যালারি, জিম, ক্রিকেট মাঠ, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, ফুটবল মাঠ, বাস্কেটবল ও টেবিল টেনিস কোর্ট, সাধারণ গ্যালারি, নারী-পুরুষের জন্য শৌচাগার, ক্লাব, স্লিপার, অপেক্ষাগার, ব্যায়াম সরঞ্জাম, অফিস কক্ষ, নিরাপত্তা কক্ষ, স্টোর রুম, দোকান ও বাস কাউন্টার প্রভৃতি। প্রসঙ্গত, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপ ২০০৬ সালে নির্মাণসামগ্রী ও যন্ত্রপাতি রাখতে এ মাঠের ইজারা নেয়। এ কারণে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ওই মাঠে খেলাধুলার সুযোগবঞ্চিত থাকে এলাকাবাসী। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে ডিএসসিসি ওরিয়নকে ওই মাঠ থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে বাধ্য করে। এরপর ওই মাঠকে জল সবুজে ঢাকা প্রকল্পের আওতায় এনে উন্নয়ন কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন। অচিরেই যার সুফল পেতে যাচ্ছেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা।