‘৯৯৯’-এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা নভেম্বরে

‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হচ্ছে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে। এতদিন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছিল। এখন এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে। এখন আনুষ্ঠানিক পথচলায় নেতৃত্ব দেবে পুলিশ বিভাগ।

রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তথ্য ও প্রযুক্তিভিত্তিক ৯৯৯ জরুরি সেবার জাতীয় কলসেন্টার স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব সুবির কিশোর রায় চৌধুরী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে একটি নম্বরেই কল দিলেই জরুরি সেবাগুলো হাতের কাছে এসে যায়। বাংলাদেশে ৯৯৯ নম্বরে সেবা পৃথক ইউনিটের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে। সবগুলো ইউনিট এক জায়গায় এনে ৯৯৯ নম্বর সব জরুরি সেবা পাওয়া নিশ্চিত করা হলো। এখন যে কেউ অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশি সেবা ও আগুন নিয়ন্ত্রণের সেবা পেতে চাইলে ৯৯৯-এ কল করে সুবিধা পাবেন।

পরীক্ষামূলকের পর ৯৯৯-এর মাধ্যমে জরুরি সেবা পাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে কবে চালু হবে জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, এটা প্রধানত পুলিশই পরিচালনা করবে। বিশ্বব্যাপী ৯৯৯ সার্ভিসে পুলিশ করে থাকে। পুলিশের সঙ্গে ইন্টারফেস থাকবে ফায়ার ব্রিগেড ও হেলথ সার্ভিসের। যেখানে ফায়ার ব্রিগেড প্রয়োজন হবে পুলিশ ডেসপাস করে দেবে। অ্যাম্বুলেন্স দরকার হলে ডেসপাস করা হবে।

শহীদুল হক বলেন, ইতিমধ্যে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে একটি ফ্লোরে কল সেন্টার প্রস্তুত হয়েছে। আশা করছি নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।