রোহিঙ্গাদের আশ্রয় বাংলাদেশের প্রশংসায় লেবার এমপিরা

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করলেন ব্রিটেনের লেবার দলীয় এমপিরা। রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্বের দেশগুলোকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তারা। ব্রাইটনে লেবার পার্টির কনফারেন্সের ফাঁকে অনাড়ম্বর এ অনুষ্ঠানে লেবার এমপিরা এই আহ্বান জানান। এবারের ডিনার পূর্ব আলোচনার মূল ইস্যু ছিল রোহিঙ্গা। লেবার নেতারা এ ঘটনাকে বিবেচনা করছেন গণহত্যা হিসেবে।

প্রতিবছর লেবার পার্টির কনফারেন্স চলাকালীন ব্রিটিশ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এমপিদের অংশগ্রহণে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে লেবার ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ। অন্যবারের মতো এবারের অনুষ্ঠানেও যোগ দেন লেবারের শীর্ষ নেতা এবং বেশ কয়েকজন সিনিয়র এমপি। এর মধ্যে ছিলেন শ্যাডো ফরেইন সেক্রেটারি এমেলি থর্নবেরি, ব্রেক্সিট সেক্রেটারি স্যার কিয়ার স্টারমার, হেলথ সেক্রেটারি জনাথন আশওয়ার্থসহ প্রভাবশালী লেবার এমপিরা।

অনুষ্ঠানে ইউকের বাংলাদেশি কমিউনিটি ছাড়াও ঘুরেফিরে আসে রোহিঙ্গা ইস্যু। লেবার এমপিরা রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেন। শ্যাডো ফরেইন সেক্রেটারি ও ফরেইন মিনিস্টার দুজনই বলেন, তারা সরকারকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট চাপে রেখেছেন।

লেবার এমপিরা বলেন, ব্রিটিশ ফান্ডিংয়ে পরিচালিত বার্মিজ আর্মিদের অপরাধের দায় নেবে না ব্রিটিশ জনগণ। এমপি রুশানারা আলীর নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যা নির্যাতন বন্ধ করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য ব্রিটিশ সরকারের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে হাউস অব কমন্সের দেড় শতাধিক এমপি স্বাক্ষর করেন। এমপি রুশানারা আলী বলেন, তাদের ধারাবাহিক ক্যাম্পেইন ও চাপ প্রয়োগের ফলে ফান্ডিং বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।

উল্লেখ্য, মিয়ানমার সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণের জন্য বছরে প্রায় ৩ লাখ পাউন্ড ফান্ড পেত ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে।

অনুষ্ঠানে লেবার এমপি ছাড়াও বিভিন্ন বার কাউন্সিলের মেয়র, কাউন্সিল লিডার, কাউন্সিলর ও লেবার অ্যাক্টিভিস্টরা অংশ নেন। ব্রিটিশ বাংলাদেশিদের লেবার পার্টির সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত হতে আহ্বান জানান তারা। এ সময় এলএফওবির প্রেসিডেন্ট হাওয়ার্ড ডোবার জানান, আগামী নির্বাচনে তিনি অন্তত ১০ জন বাংলাদেশি অরিজিন এমপির বিজয় দেখতে চান।

সাবেক লেবার লিডার এড মিলিবান্ড পরিচালিত চ্যারিটি সংগঠনের ব্যানারে রোহিঙ্গাদের জন্য ফান্ড রেইজ করা হয় অনুষ্ঠানে।