বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি কৃষির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে কৃষি প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এই প্রণোদনার আওতায় ৫ লাখ ৪১ হাজার ২০১ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৩১৫ টাকার বীজ ও রাসায়নিক সার দেয়া হবে।
গতকাল রবিবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী জানান, কৃষি মন্ত্রণালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি কৃষির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গম, ভুট্টা, সরিষা, চীনাবাদাম, গ্রীষ্মকালীন তিল, গ্রীষ্মকালীন মুগ, খেসারী, মাসকলাই, ফেলন ও বিটি বেগুন এর ক্রমবর্ধমান উত্পাদন ধরে রেখে কৃষির উন্নয়নে এ কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ মৌসুমে খরিপ-২ এর ফসল মাসকলাই, রবি মৌসুমে গম, ভূট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, ফেলন, খেসারী, বিটি বেগুন ও পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও তিল উত্পাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে চলতি অর্থ বছরে ৬৪ জেলায় কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে ।
মন্ত্রী বলেন, ১০ ধরনের ফসলের জন্য বীজ এবং ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হবে। প্রত্যেক কৃষককে এক বিঘা জমির জন্য এসব বীজ ও সার দেওয়া হবে। প্রত্যেক কৃষককে এক বিঘা জমির জন্য এসব বীজ ও সার দেওয়া হবে। প্রণোদনা কার্যক্রম বাবদ মোট মঞ্জুরিকৃত অর্থের পরিমাণ ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ১৯ হাজার ৩১৫ টাকা।
মন্ত্রী জানান, প্রণোদনার অর্থে ৭২ হাজার ৩০৬ হেক্টর জমিতে গম, ভূট্টা, সরিষা, ফেলন, খেসারি, গ্রীষ্মকালীন মুগ, গ্রীষ্মকালীন তিল, মাসকলাই, চিনাবাদাম ও বিটি বেগুন ফসল চাষ করে ৭২৭ কোটি ৫৯ লাখ ৫০ হাজার ৯শ টাকার ফসল উত্পাদন সম্ভব হবে।