রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (রুয়েট) একদল শিক্ষার্থী বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো তৈরি করেছেন ‘রেসিং কার’। বিশ^বিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২৫ জন শিক্ষার্থীর তৈরি গাড়িটির সেপ্টেম্বর মাসে জাপানে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। তবে গাড়িটির যাতায়াত ও বহনের স্পন্সর না পাওয়ায় কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এ অনন্য কাজে স্পন্সর করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জানা যায়, শিক্ষার্থীদের গাড়ি তৈরির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে এই প্রথম তৈরি করা হয়েছে ‘রেসিং কার’। রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের স্বপ্নবান ২৫ শিক্ষার্থী এ গাড়িটি তৈরি করেছেন। শহীদ শাফী ইমাম রুমির গেরিলা দলের নামানুসারে শিক্ষার্থীদের দলটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ক্র্যাক প্লাটুন’। গাড়িটির চাকা এবং ইঞ্জিন বাদে অন্য সব যন্ত্রাংশ শিক্ষার্থীরাই তৈরি করেছেন। গাড়ি তৈরির মূল কাজ শেষ। রঙ করাসহ বাহ্যিক কাজ বাকি। শিক্ষার্থীদের এ কাজে সহযোগিতা করছেন শিক্ষকরা। যন্ত্রকৌশল বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. রোকনুজ্জামানের সার্বিক সহযোগিতায় কারটি তৈরির ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার হিসেবে রয়েছেন একই বিভাগের প্রফেসর ড. ইমদাদুল হক এবং প্রভাষক সাইফুর রহমান।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ৫ থেকে ৯ সেপ্টেম্বর জাপানের সিজিওকা ইকোপো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফর্মুলা স্টুডেন্ট জাপান-২০১৭’ নামের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সিঙ্গাপুর, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ভারত, পাকিস্তানসহ বিশে^র ২৭টি দেশের ৮৯টি দল অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। নিজেদের তৈরি ‘রেসিং কার’ নিয়ে বড় এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে রুয়েটের ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ দল। দলটি ২ সেপ্টেম্বর জাপানের উদ্দেশে রওনা দেবে। ২৩ সদস্যের দলের যাতায়াতের বিষয়ে সহায়তা দেবে রানার মোটরস। তবে গাড়িটি নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এখনও কোনো স্পন্সর পাওয়া যায়নি। বড় এ কারটি নিতে লাগবে কার্গো সার্ভিস। কার নিয়ে যাওয়া এবং আনার জন্য ব্যয় হবে প্রায় ১০ লাখ টাকা।
ক্র্যাক প্লাটুনের দলনেতা ও যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মুসা মাহামুদ রানা জানান, কারটির চাকা ও ইঞ্জিন শুধু বাইরের দেশের। বাকি যন্ত্রাংশ নিজেরাই তৈরি করেছেন। যদিও ওই যন্ত্রাংশগুলো কিনতে পাওয়া যায়। কার তৈরির মূল কাজ শেষ। রঙের কাজ বাকি। তিনি আরো বলেন, কারটি ঘন্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে চালানো যাবে। তবে প্রতিযোগিতার নিয়ম অনুযায়ী ঘণ্টায় ১০০ মিটার গতি তুলতে পারব আমরা। বড় এ আসরে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী।