ডালিয়া ব্যারাজে বাড়তি আয়

চিত্তবিনোদনের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে তিস্তা সেচ প্রকল্পের ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্ট। দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে ভ্রমণপিপাসুদের আগমন ঘটে প্রতিনিয়ত। তবে ঈদুল ফিতরের পর এ পয়েন্টে ভিড় বাড়ে কয়েকগুণ। এলাকাবাসী বলেছেন, ঈদ-পরবর্তী এমন সমাগম চলে প্রায় দুই সপ্তাহ। আর ভ্রমণপিপাসুদের আগমনে সেখানে বসেছে অনেক অস্থায়ী দোকান। এসব দোকানে অনেকেই করছেন কেনাকাটা। পাশাপাশি নদীতে রাখা হয়েছে স্পিডবোট ও নৌকা। এতে করে আসছে বাড়তি আয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ পয়েন্টে দেখা গেছে শিশু, নারী-পুরুষের সমাগম। ঈদ-পরবর্তী আনন্দ উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে সেখানে এসেছেন তারা। অনেকে ঘুরে ঘুরে দেখছেন সেচ প্রকল্পটির বিভিন্ন দিক। পরিবার-পরিজন নিয়ে তিস্তা নদীর পানিতে ভেসে অনেকেই মেতেছেন নৌকা ভ্রমণে। আবার অনেকেই নদীতে আনন্দ করছেন স্পিডবোটে চেপে।
ঠাকুরগাঁও জেলা সদর থেকে আসা নিয়ামত আলী বলেন, ঈদের পরে আনন্দ উপভোগ করতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছি এখানে। কয়েক বন্ধু মিলে বাস ভাড়া করে আমরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছি। এখানে এসে প্রাকৃতিক দৃশ্যের পাশাপাশি সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন দর্শনীয় দিক উপভোগ করছি।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার কলেজ শিক্ষার্থী ইব্রাহীম আলী বলেন, আমরা বন্ধুরা মিলে এখানে বেড়াতে এসে অনেক আনন্দ করছি। নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য আকৃষ্ট করেছে আমাদের। অপর এক শিক্ষার্থী লিয়াকত আলী বলেন, এখানে এসে নৌকা ভ্রমণ করেছি। বন্ধুরা মিলে বিভিন্ন স্পটে নিজেদের ছবি তুলেছি। অনেক ভালো লেগেছে আমাদের।
ব্যারেজের ভাটিতে কথা হয় স্পিডবোটের মালিক একরামুল হকের সঙ্গে। তিনি জানান, ঈদের পরদিন থেকে সেখানে চারটি স্পিডবোট রাখা হয়েছে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য। প্রতি জন ৪০ টাকার বিনিময়ে নদীতে আধাঘণ্টা ভ্রমণের সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া অনেকে নৌকায় ভ্রমণ করছেন।
ভ্রমণপিপাসুদের আগমনের কারণে সেখানে বসেছে অনেক অস্থায়ী দোকান। এসব দোকানে অনেকেই করছেন কেনাকাটা। ঝালমুড়ি, বাদাম, চা-বিস্কুট তেলেভাজা বিভিন্ন খাবারের দোকানিরাও কাটাচ্ছেন ব্যস্ত সময়। এ সময় তেলেভাজা পিঁয়াজু ও পাঁপড়ের দোকানদার আবাদুর রহিম বলেন, আমি প্রতিদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকান নিয়ে থাকি। এ সময়ে ২ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হয়।
ডালিয়া গ্রামের ইউনুছ আলী বলেন, ঈদের পর থেকে মানুষের সমাগম বাড়ে এখানে। এমন সমাগম চলে ২ সপ্তাহ পর্যন্ত। কোরবানির ঈদে মানুষের সমাগম আরও বাড়ে। বাইরের মানুষের আগমনে আমরা স্থানীয়রা আনন্দ পাই।
ডিমলা উপজেলার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্ট এলাকার খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, প্রতি বছর ঈদ-পরবর্তী সময়ে এখানে লোকজনের সমাগম বাড়ে। তাদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসন ও ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ সচেতন।