সরকার চলতি ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ৩৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় নির্ধারণ করেছে।
আজ রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের রপ্তানির এই লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, সার্ভিস সেক্টর থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সর্বমোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। গতবছর পণ্য ও কম্পিউটার সার্ভিস থেকে রপ্তানি আয় ছিল প্রায় ৩৪.৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১১ মাসে সার্ভিস সেক্টরে রপ্তানি আয় ছিল ৩.৩৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৫৪ ভাগ আসে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে। গত বছর ইউরো ও পাউন্ডের অবমূল্যায়নের কারণে রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও রপ্তানি আয় আশানুরূপ হয়নি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, সরকার দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাকের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, জাহাজ, ফার্নিচার রপ্তানিতে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সকল পণ্য রপ্তানিতে বিভিন্ন হারে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের চাহিদা দিনদিন বাড়ছে, সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিক হলে ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো সমস্যা হবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর তৈরি পোশাক খাত মোট রপ্তানিতে ৮০.৮১ ভাগ, চামড়া খাত ৩.৫৪ ভাগ, পাট ও পাট পণ্য ২.৭৬ ভাগ, হোম টেক্সটাইল ২.২৯ ভাগ অবদান রখেছে। তৈরি পোশাক খাতে মাত্র .২০ ভাগ প্রবৃদ্ধি ঘটলেও ইঞ্জিনিয়ারি প্রোডাক্ট খাতে ৩৫.০৫ ভাগ এবং প্লাস্ট্রিক প্রোডাক্ট খাতে ৩১.৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। অন্যান্য খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. নমিতা হালদার, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য্য, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।