‘অনলাইনের আওতায় আসছে ডিএসসিসির হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় প্রক্রিয়া’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় প্রক্রিয়া অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

আজ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ‘শিগগিরই হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় প্রক্রিয়া অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এরপর থেকে ঢাকা মহানগরীর বাড়ির মালিকরা নির্ধারিত হোল্ডিং ট্যাক্স অনলাইনে প্রদান করবেন। ’

তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়া চালু হলে নাগরিকদের ট্যাক্স প্রদানে হয়রানী কমবে, রাজস্ব আয় বাড়বে এবং এ ক্ষেত্রে দুর্নীতিও হ্রাস পাবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১৫শ’ বর্গফুট পর্যন্ত আবাসন ট্যাক্স মওকুফ করা হয়েছে বলে মেয়র জানান।

বাজেট বক্তৃতায় মেয়র বলেন, সংস্থার সকল প্রকার উন্নয়ন কার্যক্রমে শতভাগ ই-টেন্ডারিং চালু করা হয়েছে। ফলে দরপত্রে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা যেকোন স্থান থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে। নগর ভবনসহ কয়েকটি স্থানে ফ্রি ওয়াই ফাই চালু করা হয়েছে। ডিএসসিসি’র ৫৭টি ওয়ার্ডে ৫৭টি ‘নগর ডিজিটাল সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে। সংস্থার কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত কল্পে ডিজিটাল এ্যাটেনডেন্স চালু করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণমুক্ত করতে ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করেছে। ডিএসসিসি বাবু বাজার থেকে সদরঘাট টার্মিনাল পর্যন্ত অংশে বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত করার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পে অর্থায়নের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সাথে ইতোমধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে প্রকল্পের ডিজাইন সম্পন্ন হবে। নভেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যাবে।

গত বছরের বাজেটের উল্লেখযোগ্য অংশ বাস্তবায়ন না করতে পারা সম্পর্কিত অপর এক প্রশ্নে জবাবে মেয়র বলেন, ‘গত বছরের বাজেটের ৫৬ শতাংশের উপরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। এখানে রাজস্ব আয়ের একটা বড় গ্যাপ রয়েছে। আমাদের রাজস্বের সংকট ছিল। ডিএসসিসি অঞ্চল-১ ও অঞ্চল-২ এ দুটি এলাকাতে আমাদের জেনারেল এ্যাসেসমেন্টের মধ্য দিয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা। এই এ্যাসেসমেন্ট চলাকালীন হঠাৎ করে একজন আইনজীবী আদালতে একটি রিট মামলা দায়ের করেন। আদালত এই কার্যক্রমের উপর একটি স্থগিতাদেশ জারি করে। এর ফলে রাজস্ব আয়ের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় এবং কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই রিটের শুনানী হওয়ার কথা রয়েছে। আদালত যদি এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে তাহলে নাগরিক কার্যক্রমে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি এবারের বাজেট পুরোপুরি বাস্তবায়নে সক্ষম হবো। ’

ইতোমধ্যে ঢাকা বদলে যেতে শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিগগিরই ঢাকাবাসী একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখতে পাবে।

নবসংযুক্ত ৮টি ইউনিয়নের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, নতুন ইউনিয়নের মধ্যে মাতুয়াইল, সারুলিয়া, দনিয়া ও শ্যামপুর ইউনিয়নের জন্য ৭ হাজার ২শ’ লেন বাই লেন রাস্তা, নর্দমা নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার আহবান করা হয়েছে।