বিডি সাক্সেস রিপোর্ট: বঙ্গোপসাগরে সমুদ্র সম্পদ জরিপ কার্যক্রমকে গতিশীল করতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এবং মৎস্য সম্পদের জরিপকে এগিয়ে নিতে অনুসন্ধানী জাহাজ এবং বিশেষ ধরনের অত্যাধুনিক জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মৎস্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা জানান মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাকসুদুল হাসান খান।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক জানান, বর্তমানে দেশে বার্ষিক প্রায় ৪০ লাখ টন মাছ উৎপাদিত হচ্ছে। আগামী তিনবছরের মধ্যে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে বাংলাদেশ।
মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে মাছ চাষে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিশ্চিত হয়। এরপর থেকে তেল গ্যাস অনুসন্ধান বা মৎস্য সম্পদকে কাজে লাগানোর প্রক্রিয়া খুব একটা এগোয়নি। তবে সমুদ্র বিজয়কে কাজে লাগাতে দুটি বিশেষায়িত জাহাজ কিনবে সরকার।
এদিকে বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা দেবে ফ্রান্স। ১ কোটি ১০ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মেরিটাইম এলাকা ফ্রান্সের। তাদের জিডিপিতেও গুৃরুত্বপূর্ণ অবদান সমুদ্র অর্থনীতির। এ অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশের সমুদ্র অর্থনীতির যাত্রা শুরুতে ভূমিকা রাথতে চায় ফ্রান্স।
সমুদ্র অর্থনীতির বৈশ্বিক চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশর সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে ইতোপূর্বে ফ্রান্স দূতাবাসের সাথে আলোচনা হয়েছিল।