শিক্ষার গুরুদায়িত্ব অনেকটা আজ নারীদের হাতে। বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাস্তবায়ন ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল শিক্ষার বাস্তবায়ন হচ্ছে শিক্ষক বাতায়ন। শিক্ষক বাতায়নে প্রতিনিয়ত দুই লাখ শিক্ষক প্রতিযোগিতা করছেন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে…
আখতার হোসেন খান
সুবর্ণা রায় লিপানারী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা বিশ্বের কাছে রোল মডেল। কৃষি থেকে শুরু করে, ট্রেন চালনা, বিমানের পাইলট, বিচারক, শাসক, রাষ্ট্রপ্রধান কোথায় নেই নারী? শিক্ষাক্ষেত্রে একটি বড় অংশ দখল করে আছে এই নারী। নেপোলিয়ন বলেছিলেন_ ‘তোমরা আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের শিক্ষিত জাতি দেব।’ তার বাণী, তার প্রতিশ্রুতি আজ সারাবিশ্বে সমানভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
সেই শিক্ষার গুরুদায়িত্ব আজ নারীদের হাতে। বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের বাস্তবায়ন ডিজিটাল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল শিক্ষার বাস্তবায়ন হচ্ছে শিক্ষক বাতায়ন। শিক্ষক বাতায়নে প্রতিনিয়ত দুই লাখ শিক্ষক প্রতিযোগিতা করছেন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে। সেই প্রতিযোগিতায় ফরিদপুর জেলার প্রাথমিক স্তরের সেরা শিক্ষকদের মধ্যে সেরা হয়েছেন সুবর্ণা রায় লিপা। লিপার প্রতিভা বাবা-মাকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন ডাক্তার বানানোর। কিন্তু লিপা ডাক্তার হওয়ার বদলে হলেন শিক্ষক। তিনি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেননি, তিনি স্বপ্ন দেখেছেন ডাক্তার বানানোর। সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে সুবর্ণা রায় লিপা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষক বাস্তবায়নে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করছেন। এ পর্যন্ত তিনি ৩০টি কনটেন্ট ২০টি ভিডিও এবং ১০১টি বস্নগসহ মোট ১৫১টি প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সেরা শিক্ষকদের মাঝে সেরা হয়েছেন। তিনি শিক্ষক বাস্তবায়নে সপ্তাহের সেরা কনটেন্ট নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন, পেয়েছেন জাতীয় স্বীকৃতি।
তার এই অর্জন তার বাবা মা ও স্কুলকে গর্বিত করেছে। গর্ব বোধ করছে তার নিজ জেলার সব স্তরের মানুষ। আগামী ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সম্মেলন থেকে পুরস্কার গ্রহণ করবেন সুবর্ণা রায় লিপা। এর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে লিপা বলেন, আমি ডাক্তার হতে পারিনি তাই বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ হয়নি। কিন্তু শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হয়ে আমি ডাক্তার তৈরি করব। তবেই আমার স্বপ্ন পূরণ হবে। এ ছাড়া আমি একজন মা এবং শিক্ষক এই দুইয়ের সমন্বয়ে কোমলমতি শিশুদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তিনি ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলার ত্রিপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি সবার আশীর্বাদ কামনা করছেন।