কবুতর পালন করে স্বাবলম্বী নওগাঁর আখতার

নওগাঁর যুবক আখতারুজ্জামান শখের বসে কবুতরের খামার করে মাসে আয় করছেন লাখ টাকা। এই খামার এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রতিদিনই খামার দেখতে শৌখিন কবুতর পালকরা ভিড় করছেন।

সদর উপজেলার জোকাবিলা গ্রামের সন্তান আখতারুজ্জামান। ২০০০ সালে শখের বসে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ২ জোড়া কবুতর কিনে শুরু করেন খামার। বর্তমানে তার খামারে শিরাজি, কিং, কালোমুখী, রাইচমুখী, জ্যাকপিন, বিউটি, বারকুমার, ককা, ঘিয়াচুন্নি, আউর, গিরিবাজ, জালালিসহ দেশি-বিদেশি ৮০ প্রজাতির প্রায় ৫০০ কবুতর রয়েছে। এগুলোর বাচ্চা শৌখিন কবুতরপ্রেমীদের কাছে বিক্রি করে আখতারুজ্জামানের মাসে আয় হচ্ছে প্রায় লাখ টাকা। আখতারুজ্জামান বলেন, ‘শখের বসে গড়ে তোলা এ কবুতরের খামার দেখে বেকার যুবকরা যেন এগিয়ে আসেন। তারা যেন এ রকম খামার গড়ে তোলেন। কারণ কম পরিশ্রম ও পুঁজিতে কবুতরের খামার গড়ে তোলা যায়। এখান থেকে অনেক বেশি লাভ করাও সম্ভব। তা ছাড়া কবুতরের মাংস অধিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন। আমি এই খামারের কবুতর থেকে উৎপাদিত মাংস দিয়ে নিজেদের চাহিদা পূরণ করি, বাইরেও বিক্রি করি। এতে যেমন মাংসের প্রয়োজন মিটছে, অন্যদিকে আয়ও হচ্ছে। খামারে বর্তমানে সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের কবুতর রয়েছে। ’ তিনি আরও বলেন, ‘যদি কেউ আমার মতো কবুতরের খামার গড়ে তুলতে চান, তাহলে তাদের আমি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব। বেকার শিক্ষিত যুবকরা কবুতরের খামার গড়ে তুলতে পারেন। কারণ একটি খামার গড়ে তুলতে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হয় না। শুধু প্রয়োজন এই পাখিগুলোর জন্য নিবিড় যত্ন। ’ অন্য কবুতর ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আখতারুজ্জামানের কবুতর খামার জেলার মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী খামার। আমি এ খামার থেকে কবুতর কিনে জেলার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করি। এতে আমার ভালো লাভ হয়। কবুতরের ব্যবসা করেই আমরা জীবনযাপন করছি। ’ নওগাঁ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আখতারের এই কবুতরের খামার নিঃসন্দেহে ভালো। আগের তুলনায় নওগাঁয় কবুতর পালন অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আখতারকে সব সময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। বেকার যুবকরা কবুতর পালনে উদ্যোগ নিলে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বিভিন্ন সহায়তা করবে। ’