রাজশাহী থেকে ব্যাগিং পদ্ধতিতে বিদেশে আম রপ্তানি শুরু হয়েছে। রবিবার উদ্বোধনী দিনে সাড়ে তিন হাজার কেজি আম ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তবে কোম্পানি দেরিতে আম নেয়ায় এবং অতিরিক্ত পরিপক্ক হওয়ায় ব্যাগেই পেকেছে অনেক আম। এসব আম সময়মত রপ্তানি না হওয়ায় স্থানীয় চাষিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন।
জানা গেছে, স্থানীয় বাগান থেকে প্রথমে এসব আম আর আর (রাজিব) ইন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ঢাকায় যাবে। সেখান থেকে আর আর ইন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রে আল-আমিন হোলসেল্স লিমিটেড সরবরাহ করবে। রাজীব ইন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে আম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় দুই হাজার টন। কিন্তু আমের অর্ডার দেরিতে হওয়ায় এমনিতেই একশ’ টন সরবরাহের সময় পার হয়ে গেছে।হিমসাগর (খিড়সাপাত) আম প্যাকেটজাত করা হচ্ছে। প্রতিটি প্যাকেটে দুই কেজি আম সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
রাজশাহী এগ্রো ফুড প্রোডিউসার সোসাইটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, বিভিন্ন এলাকার ১০টি বাগান থেকে আম সংগ্রহ করা হচ্ছে। মে মাসের ২৮ তারিখ থেকে এই আগগুলো নেয়ার কথা। দেরিতে রপ্তানি হওয়ায় অনেক আম প্যাকেটেই পাকতে শুরু করেছে। আবার অতিরিক্ত পরিপক্ক হওয়ায় বোটা থেকে ঝরে প্যাকেটেই রয়ে গেছে। এমন শতকরা প্রায় ৩০টি আম রপ্তানির বাইরে থাকছে। এতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি আরো জানান, গত বছর প্রতি কেজি আমের দাম ৮৫ টাকা দিলেও এবারে দিচ্ছেন ৮০ টাকা। এখানেও চাষিকেও লোকসান গুণতে হচ্ছে।
সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান খান বলেন, রাজশাহীতে প্রায় একশ জন চাষি বিদেশে রপ্তানির যোগ্য আমচাষ করেছেন। প্রায় ১০ লাখ আমে ব্যাগিং করা হয়েছে। তবে প্রতিকুল পরিবেশ, এক্সপোর্ট-ইম্পোর্টের জটিলতার কারণে কিছুটা হলেও লোকসান হবে। ব্যাগিং পদ্ধতির আম বিদেশে না রপ্তানি হলেও দেশীয় বাজারে ভাল দামেই বিক্রি হবে।
রাজশাহীতে এবারে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে আমচাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। উৎপাদিত আমের গুণগত মান ভালো হওয়ায় এসব আম বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। আমের মান ও দাম ভাল পাওয়ায় ক্রমেই উৎসাহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। ফলে এই ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতির মাধ্যমে আম চাষের প্রসার ঘটেছে।