৩৩ হাজার ৮৪৯ কি.মি. নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ায় দেশে কিছু লোডশেডিং হচ্ছে। এছাড়া বৈরী আবহাওয়া ও বিতরণ লাইনে মেরামত কাজের জন্যও কিছু কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। একই সঙ্গে দেশে জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে মাঝে মাঝে আবহাওয়ার উষ্ণতা মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যায়। এতে বিদু্যুতের চাহিদাও বাড়ছে। তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬৪ জেলার ৭৮টি এলাকায় ৩৩ হাজার ৮৪৯ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ লাইনে সংযোগ দেওয়া হবে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। আরেক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে প্রায় ৮ হাজার ৫০০ থেকে ৯ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। নসরুল হামিদ আরও বলেন, বিদ্যুতের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বেশি থাকায় ঘাটতি পরিলক্ষিত হয় না। প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ৬ হাজার ৪১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এরমধ্যে ১১ হাজার ৩৬৩ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এছাড়া ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে আরও ৪ হাজার ৯১৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নসরুল হামিদ বলেন, নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি পরমাণু শক্তিনির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।

বছরে গ্যাসের ঘাটতি ৩ লাখ ১০ হাজার ২৫০ ঘনফুট : আরেক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের বার্ষিক চাহিদা ১৩ লাখ ১৪ হাজার এমএমসিএফ এবং উৎপাদন ক্ষমতা ১০ লাখ ৩ হাজার ৭৫০ এমএমসিএফ। অর্থাৎ বছরে গ্যাসের উৎপাদন ঘাটতি ৩ লাখ ১০ হাজার ২৫০ ঘনফুট। তিনি আরও জানান, বর্তমানে প্রতি হাজার ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন খরচ ২৫৬ দশমিক ৪০ টাকা। প্রতি হাজার ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাসের বিক্রয় মূল্য ২১৬ দশমিক ৩৪ টাকা।