লিচুর দামে খুশি দক্ষিণ চলনবিলের চাষীরা

দক্ষিণ চলনবিলের বড়াইগ্রাম ও গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলতি বছর মোজাফ্ফর জাতের আগাম লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছে গাছে লাল টস্ টসে লিচুর ভারে ডালগুলো মাটি ছুঁয়ে আছে। সেসব লিচু সংগ্রহ করে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে আড়তে। কেউ কেউ ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দাম হাঁকছেন। সব মিলিয়ে এ ফলকে ঘিরে দুই উপজেলার লিচুর পাইকারি মোকামগুলো জমে উঠেছে। পাইকার, ফড়িয়া আর বিক্রেতাদের হাঁকডাকে আড়তগুলো সরগরম হয়ে উঠেছে। জানা গেছে, বড়াইগ্রামের রয়না ভরট, জালশুকা, জোয়াড়ি, গোয়ালফা, আগ্রাণ এবং গুরুদাসপুর, নাজিরপুর, বিয়াঘাট, নারায়ণপুর, বেড়ঙ্গারামপুর ও শাহাপুর কালীনগর লিচু গ্রাম নামে খ্যাত। এসব লিচু বিক্রির জন্য ২০০১ সালে প্রথম গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়ঙ্গারামপুর কানু বেপারির বটতলায় গড়ে উঠে লিচুর আড়ত। এখানে ১৫টি লিচুর আড়ত রয়েছে। পাশে মোল্লাবাজার ছাড়াও বড়াইগ্রামের আহম্মেদপুর, বনপাড়া বাইপাস ও বড়াইগ্রাম চৌরাস্তা মোড়েও লিচুর আড়ত গড়ে উঠেছে। এসব আড়ত থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৬৫ ট্রাক লিচু (প্রতি ট্রাকে ২০০ ঝুড়ি, এক ঝুড়িতে ২ হাজার ২০০টি লিচু থাকে) ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকারি ক্রেতারা আসায় কৃষকও লাভবান হচ্ছেন।