রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সার্ভিস বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ করে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিআরটিসি অনেক বছর ধরে দুর্নাম নিয়ে চলছে। এখানকার কর্মকর্তাদের ঠিকমতো দায়িত্ব পালনের দৃষ্টান্ত খুব কম। ডিপো ম্যানেজারদের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মের অভিযোগ আছে। এমন অভিযোগও আসে, যেগুলো খুব কষ্টদায়ক। আর কত টাকা দরকার আপনাদের? জনগণের টাকা নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলবেন না। বিআরটিসির সুনাম ফিরিয়ে আনুন। দুর্নীতি, অনিয়ম বন্ধ করুন। বিআরটিসির জন্য সরকার শুধু দেবে, আর কিছুই পাবে না, এটা কেমন করে হয়?’
গতকাল সকালে রাজধানীর কমলাপুরে বিআরটিসির বাস ডিপোতে করপোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন ও গ্র্যাচুইটির চেক বিতরণ ও ঈদসেবা নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আগামী ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের জন্য সরকারের পরিবহন সংস্থা বিআরটিসির ৯০০ বাস প্রস্তুত থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঈদ উপলক্ষে বিআরটিসি ৯০০ স্পেশাল বাস প্রস্তুত রাখা হবে। এর মধ্যে ৪৬৬টি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চলবে। ৫০টি বাস ঢাকার বিআরটিসি বাস ডিপোতে ‘স্ট্যান্ডবাই’ রাখা হবে। আরও ৩০০ বাস মেরামত করে দূরপাল্লায় যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই বাসগুলো ২২ জুন থেকে ঈদুল ফিতরের পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত চলবে এবং ঈদের সাত দিন আগে থেকে বিআরটিসির ‘স্পেশাল’ বাসের টিকিট পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে কেউ যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে না পারে, সেজন্য সারাদেশে বিআরটিসি কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঈদে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে বিআরটিসির তিনটি পর্যবেক্ষণ দল কাজ করবে। এছাড়া সড়কে বাসের কোন সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে মেরামতের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট চারটি কারিগরি দল গঠন করা হবে। এই দলগুলো টাঙ্গাইল, বগুড়া, রংপুর এবং কাঁচপুর সেতু এলাকায় অবস্থান নেবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বিআরটিসির জন্য ৬০০ বাস ও ৫০০ ট্রাক সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর নাগাদ বাস ও ট্রাকের বহর ঢাকায় আসতে শুরু করবে।