সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে :- প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস এবং উত্সব পালন করছে। গতকাল বুধবার গণভবনে শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট চন্দ্রিকা বন্দরনায়েকে কুমারাতুঙ্গার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত্কালে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তার সরকার তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগত সমস্যার সমাধান করেছে। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন।

 

বৈঠকে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও তাদের রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গাও শ্রীলঙ্কার ফ্রিডম পার্টির সভাপতি ছিলেন। এই দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। বৈঠকে তারা তাদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। এই দুই দলের প্রতিষ্ঠাতাদ্বয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শ্রীলঙ্কার নেতা সলমন বন্দরনায়েকে উভয়ে নির্মমভাবে নিহত হন। তাদের রাজনৈতিক দল দীর্ঘদিন অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চন্দ্রিকাকে বাংলাদেশের সমাজের বিভিন্ন দিক অবহিত করেন।            প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা লন্ডনভিত্তিক গ্লোবাল লিডারশিপ ফাউন্ডেশনের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে ৪ দিনের সফরে ২১ মে ঢাকায় আসেন। প্রসঙ্গত, শ্রীলঙ্কার একমাত্র নারী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ১৯৯৪ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা।

 

প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরেছেন

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবে তার ৪ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইটটি মঙ্গলবার রাত ১টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

 

সৌদি বাদশা কিং সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে প্রথম আরব ইসলামিক-আমেরিকান (এআইএ) সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২০ মে রিয়াদ যান। সফরকালে তিনি মক্কায় হারাম শরিফে পবিত্র ওমরা পালন এবং মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (সা) রওজা মোবারক জিয়ারত করেন।

 

সম্মেলনে চরমপন্থা এবং অবৈধ অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপায় নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আরব ও মুসলিম বিশ্বের ৫৬টি দেশের নেতারা সম্মেলনে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে তার লিখিত ভাষণে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদীদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মেলনে শেখ হাসিনা আরো কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করেন। রবিবার এআইএ সম্মেলন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন এবং তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। সম্মেলনের পাশাপাশি শেখ হাসিনা তাজাক প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রাহমুন এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজাকের সঙ্গে বৈঠক করেন।