রমজানে ভেজাল খাবার সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে জেল জরিমানার মামলা প্রদানের ক্ষমতা নিয়ে খাবার দোকান পরিদর্শনে ৬০০ স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কাজ করবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সারা দেশের স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের কাছে এই নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়েছে। খাদ্যে ভেজালের প্রমাণ পেলে ৫ বছরের জেল অথবা ৫ লাখ টাকা জরিমানার মামলা করার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে ইন্সপেক্টরদের। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নির্দেশে রোজার মাসে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
স্যানিটারি ইন্সপেক্টররা খাদ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, ব্যবসায়ীদের জিএমপি ও জিএইচপি প্রশিক্ষণ, ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরিসহ প্রতিদিন কমপক্ষে ৮টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা রোজার মাসে কিচেন মার্কেট, ফল ও মাংসের দোকান এবং রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন করে সন্দেহযুক্ত খাদ্যের নমুনা পরীক্ষাগারে প্রেরণ করবেন এবং ভেজালের প্রমাণ পাওয়া গেলে নির্দিষ্ট মেয়াদের শাস্তিযোগ্য মামলা দায়ের করার ক্ষমতা রাখবেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে দেশের প্রতিটি বিভাগের জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে এই কার্যক্রম চালান হবে।
গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘সুস্থ জীবনের নিরাপদ খাদ্য’ বিষয়ক এক সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের রমজান মাসে প্রতিদিন ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযান চালানোর নির্দেশনা দিয়ে বলেন, শুধু রোজার সময় নয়, জনগণের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের এই অভিযান সারা বছর অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ভেজাল ও দূষিত খাবার খেয়ে ইদানীং মানুষের নানা ধরনের অসুখ হচ্ছে। ডায়াবেটিস, কিডনী, লিভার, হার্টের দূরারোগ্য রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগের প্রকোপ বাড়ছে অস্বাস্থ্যকর খাবারের কারণে। তাই রোগের চিকিত্সা করার চাইতে রোগ যেন না হয় সেদিকেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
এসময় তিনি ভেজাল বিরোধী অভিযান চালানোর পাশাপাশি ভোক্তাদের সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে হাট, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রচারণা কার্যক্রম চালানোর জন্য ইন্সপেক্টরদেরকে নির্দেশ দেন।