কালীগঞ্জে বোরোর বাম্পার ফলন

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বোরো মওসুম জুড়ে এখানকার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ক্ষেতে কোন রকম রোগ-বালাই দেখা যায়নি। ফলে চলতি মৌসুমে বোরো ধানের রেকর্ড পরিমাণ ফলন হবে বলে মনে করছেন কৃষক ও স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কালীগঞ্জে উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ হাজার হেক্টর কিন্ত চাষ হয়েছে ১৫ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েক হেক্টর জমি প্রদর্শনী হিসেবে রাখা হয়। মোট জমির মধ্যে ব্রি-২৮ ধান ৩ হাজার ৮’শ৫০ হেক্টর জমিতে, ব্রি-৫০(বাংলামতি সুগন্ধি) ৩ হাজার ৯’শ ৬০ হেক্টর, ৬ হাজার হেক্টর জমিতে সুবল লতা, ২’শ ২০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধান, নতুন জাত ব্রি-৬৩ ধান ২০ হেক্টর জমিতে লাগানো হয়। উপজেলার কোলা ইউনিয়নের পারিয়াট গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম জানান, তিনি এ বছর ১২ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছিলেন। ইতোমধ্যে ৫ বিঘা জমির ধান বাড়িতে এনে ঘরে তুলতে পেরেছেন। তিনি জানান,এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো। তিনি জানান, এ বছর ৩৩ শতকের প্রতি বিঘায় ৪০-থেকে ৪২ মণ ধান হয়েেেছ।
উপজেলার খড়িকাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আনছার আলী জানান, এ বছরে তিনি ৫ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চাষ করে ইতোমধ্যে সব ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। গড়ে প্রতি বিঘায় প্রায় ৩৫ মণ ধান পেয়েছেন। তিনি জানান,এ বছর একদিকে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যদিকে বাজারে ধানের দামও ভালো। ফলে এ বছর কৃষকেরা বেজায় খুশি। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল করিম জানান, বছরটিতে এ অঞ্চলের কৃষকেরা জমিতে গুটি ইউরিয়া ও পরিমিত জৈব সার প্রয়োগ করেছেন। ক্ষেতে এ বছর কোন রোগ বালাই না থাকায় সর্বোপরি কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত তদারকিতে ক্ষেতে ভাল ধান হয়েছে। তিনি আরো জানান,ইতোমধ্যে কৃষকেরা প্রায় অর্ধেকের বেশি ধান ঘরে তুলে ফেলেছেন। আর কয়েকটা দিন আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কৃষকদের ঘরে সব ধান উঠে যাবে। তিনি জানান,এ বছর এ অঞ্চলের কৃষকেরা বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।