রমজানে খুলে দেওয়া হবে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার

আসন্ন রমজান মাসের শুরুতেই চট্টগ্রামে নবনির্মিত আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার তথা মুরাদপুর-লালখান বাজার ফ্লাইওভার যান চলাচলের জন্য আংশিক খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রথম দুই সপ্তাহ ফ্লাইওভারের একদিক দিয়ে দুই লেইনে পরীক্ষামূলকভাবে গাড়ি চলবে। পরবর্তীতে চারটি লেইনই যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সিডিএ কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, ছয়টি র্যাম্প নির্মাণের কাজ বাকি রেখেই চট্টগ্রামের দীর্ঘতম এই ফ্লাইওভারটি খুলে দেওয়া হবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানিয়েছে, ফ্লাইওভারটি চালু থাকলেও র্যাম্প নির্মাণে কোনো অসুবিধা হবে না। জিইসি মোড়ে চারটি ও ষোলশহর দুই নম্বর গেটে দুটি র্যাম্প নির্মিত হবে। ২০১৮ সালের জুন মাস নাগাদ পাঁচ দশমিক দুই কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটির নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার কথা। তবে ওই সময়ের আরো চার মাস আগে অর্থাৎ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই ফ্লাইওভারটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে বলে কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা।

ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান ইত্তেফাককে জানান, রমজান মাসের প্রথম দিনেই ফ্লাইওভারটি খুলে দেওয়া হবে। তবে এরপরও ছয়টি র্যাম্প নির্মাণের কাজ চলতে থাকবে। আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজটি পুরোপুরি শেষ করার চেষ্টা চলছে।

এদিকে, নগরীর প্রধান সড়কে নির্মাণাধীন এই ফ্লাইওভারের কারণে নগরবাসীকে যানজটসহ নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাতের বেলা ওই সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। ফলে রাতভর ট্রাক, বাস, কাভার্ড ভ্যানসহ নানা ধরনের হাজার হাজার যানবাহন বিভিন্ন আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে যাতায়াত করে। এতে আবাসিক এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে।

৫.২ কিলোমিটার দীর্ঘ আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার প্রকল্প, যা মুরাদপুর-লালখান বাজার ফ্লাইওভার নামে পরিচিত, একনেকে অনুমোদিত হয় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর। ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স-র্যাঙ্কিন (জেভি)’র মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালের মার্চে। ফ্লাইওভারটি নির্মাণ ব্যয় ৬৯৬ কোটি টাকা।