নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল

নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল। টেকসই উন্নয়নে দেশের এই অপ্রতিরোধ্য এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্ব ও বলিষ্ঠ ভূমিকার প্রতি গোটা জাতির একাত্ম হওয়ার কারণে। উন্নয়নমূলক এসব কর্মকাণ্ডে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অন্তর্ভুক্তি সব মহলে প্রসংসিত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ল স্কুল মিলনায়তনে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তুলে ধরা বাংলাদেশের নানা সফলতার বিষয়গুলোর মধ্যে এসব বিষয় উঠে আসে।
জাতিসংঘ, ইউএনডিপি, বিশ্বব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডিনিউজ২৪ডটকমের খবরে বলা হয়, হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ‘কর্পোরেট সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড হেলথ’ সেন্টারের সহযোগিতায় ‘ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট’ (আইএসডিআই) আয়োজিত এ সম্মেলনের বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরা হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সম্ভাবনার নানা দিক।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন, জীবনমানের উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক স্থিতি অটুট রাখার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অবিস্মরণীয় অগ্রগতি সাধন করেছে। বেশ ক’বছর স্থিতাবস্থায় থাকার পর সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারও বেড়েছে। বাংলাদেশের পোশাক খাতের শ্রম পরিবেশ নিয়ে ‘কোনো কোনো মহলে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘গত আট বছরে নানা প্রতিকূলতার পরও ন্যূনতম মজুরি বেড়েছে কমপক্ষে তিনবার। বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধির এমন নজির উন্নয়নশীল বিশ্বে কমই দেখা যায়।
আয়োজক সংস্থা আইএসডিআইর নির্বাহী পরিচালক ইকবাল ইউসুফ বলেন, ‘উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সেই গতি ত্বরান্বিত করতে সর্বমহলের সম্পৃক্ততার বিকল্প নেই। সে তাড়না থেকেই আমরা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এই সম্মেলনে মিলিত হয়েছি।’
‘উদ্যোক্তা সৃষ্টি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিনিয়োগের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন’ শীর্ষক এই সম্মেলনের বিভিন্ন সেশনে হার্ভার্ড স্কুল অব পাবলিক হেলথের ড. ইলিন ম্যাকনিলি ও অধ্যাপক র‌্যামন এলবার্টো পাইন, হার্ভার্ড ল স্কুলের লেবার অ্যান্ড ওয়ার্ক ফাইল প্রোগ্রামের জন ট্রাম্পবোর, এমআইটির অধ্যাপক ইকবাল ও রবার্ট স্টনার, ম্যাসাচুসেটস রাজ্যের আবাসন ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ন্যাম ফ্যাম প্রমুখ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন, সামিট গ্রুপের প্রধান আজিজ খান, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তা ডেভিড মিল, আয়োজক সংগঠনের কর্মকর্তা আবু হাসনাত, জাতিসংঘে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য সম্পর্কিত কর্মকর্তা সোনিয়া বালসাজার, বাংলাদেশের প্রতিনিধি অনির চৌধুরী ও কবির বিন আনোয়ার এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান শেষ দিনের বিভিন্ন পর্বে আলোচনা করবেন।
এসডিজি ছাড়াও সামাজিক নিরাপত্তা, উদ্যোক্তা তৈরি, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ, অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, জ্বালানি নিরাপত্তা, শিল্পের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে এসব সেশনে আলোচনা হবে।