সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে ‘প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন’ নামের প্রকল্প একনেকে অনুমোদন পেয়েছে। ৮১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদফতরের উদ্যোগে প্রকল্পটি মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পটির আওতায় সারা দেশের ২১ জেলার ২১ উপজেলায় ১০ হাজার ৫০০ নারী প্রশিক্ষণার্থীকে তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি অধিদফতরের অধীনে প্রকল্পটি জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০১৯ পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদে পরিচালিত হবে। ১০ হাজার ৫০০ জনের মধ্যে চার হাজার নারীকে ‘ফ্রিল্যান্সার টু এন্ট্রাপ্রোর’, অন্য চার হাজারকে আইসিটি সার্ভিস প্রোভাইডার এবং দুই হাজার ৫০০ নারীকে কল সেন্টার এজেন্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হবে। প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি পরিচালনা করবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের বিশাল জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হলে অবশ্যই অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য এই প্রকল্প একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। আইসিটি অধিদফতরের মহাপরিচালক বনমালী ভৌমিক বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবায় নারীদের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সরকারের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বাক্যের সভাপতি আহমাদুল হক বলেন, এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে কল সেন্টার ও বিপিও ইন্ডাস্ট্রিতে নারীদের চাকরির যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা অনেকাংশে দূর হবে। কল সেন্টারগুলোয় প্রচুর দক্ষ নারীর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, এ প্রকল্প এর অনেকটাই পূরণ করবে বলে আমরা আশা করছি। বিপিও কোম্পানিগুলোতে আইসিটি সার্ভিস প্রোভাইডারদের চাহিদা এ প্রকল্প মেটাতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বাক্যের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন। এ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানান বাক্যের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ। একটি সময়োপযোগী প্রকল্পের সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের পরিকল্পনার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগকে ধন্যবাদ জানান তিনি। টেকশহর।