আড়াই লাখ গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য রেখে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে ৫০ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় দরিদ্র পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ শীর্ষক প্রকল্পটি ২ হাজার ২০৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে জুলাই ২০১০ থেকে জুন ২০১৭ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় জুন ২০১৬ পর্যন্ত মোট ৯৯৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৭ হাজার ৭৭৯টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সরকারে ঘোষিত ‘সবার জন্য বাসস্থান’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মোট ৪ হাজার ৮৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের মধ্যে ২ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে পুনর্বাসন করার জন্য আলোচ্য প্রকল্পটি ২য় সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গতকাল ৫ হাজার ৭১০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৫টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্প ব্যয়ের পুরোটাই সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হবে। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের প্রকল্পগুলোর বিস্তারিত জানান। তিনি জানান, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ দিয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার পরিবারকে নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ করে দেওয়া হবে এবং ৪০ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হবে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, মোট আড়াই লাখ ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য, ২ হাজার ৯২৬টি পাকা ব্যারাক নির্মাণ, ৯ হাজার ৩১টি সিআই শীটের ব্যারাক, ১ হাজার ৭৮২টি সেমি পাকা ব্যারাক নির্মাণ করা হবে। এছাড়া নিজস্ব জমি আছে অথচ ঘর নেই এমন গৃহহীন পরিবারদের জমিতে ৩ হাজার ৭১০টি সেমি পাকা ঘর ও ১ লাখ ৭০ হাজারটি সিআই শীটের ঘর নির্মাণ, তিন পার্বত্য জেলার নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫৮০টি বিশেষ ধরনের ঘর ও ২০টি টংঘর এবং কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণের ফলে সে অঞ্চলের ৪ হাজার ৪০৯টি পরিবার পুনর্বসানের লক্ষ্যে কক্সবাজারের খুরুশকূল মৌজায় ১৩৯টি পাঁচ তলা ভবন, ১টি টাওয়ার, ১টি শুঁটকি মহাল ও ১টি মসজিদ নির্মাণ, ৯০০টি কমিউনিট সেন্টার নির্মাণ, ৪০০টি ঘাটলা নির্মাণ করা হবে।