সরাসরি বিশ্বকাপের স্বপ্ন উজ্জ্বল বাংলাদেশের

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে। সর্বশেষ প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে এক পয়েন্ট কমেছে বাংলাদেশের। তবে তারপরও স্বস্তিতেই রয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের নিকটতম তিন প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ পয়েন্ট হারানোয় আপাতত কোনো ক্ষতি হয়নি মাশরাফিদের। র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখনো সাত নম্বরেই রয়েছে। তবে আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভালো করতে পারলে মাশরাফির দল এক ধাপ এগিয়ে ছয় নম্বরে উঠতে পারবে। অন্যদিকে নয় নম্বরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকায় আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার স্বপ্ন উজ্জ্বল হলো বাংলাদেশের।

আইসিসি প্রকাশিত সর্বশেষ ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা যথারীতি শীর্ষেই রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া দুই এবং ভারত রয়েছে তিন নম্বরে। বাংলাদেশ ১ পয়েন্ট হারালেও পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ব্যবধান কমেছে টাইগারদের।

সাত নম্বরে থাকা বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯১। ৫ পয়েন্ট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার রেটিং কমে দাঁড়িয়েছে ৯৩-তে। ২ পয়েন্ট কমে যাওয়ায় পাকিস্তান ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে আটে এবং ৪ পয়েন্ট কমে যাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে রয়েছে।

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে যেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে আসছে সেটি অব্যাহত রাখতে পারলে ২০১৯ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নিতে পারবে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত সময়সীমার মধ্যে শীর্ষ আটে থাকা দল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করে নেবে। ৯ এবং দশ নম্বরে থাকা দল দুটিকে দশ দলের বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে বাছাইপর্বে অংশ নিতে হবে।

১২ মে আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড ছাড়া তৃতীয় দল হিসেবে অংশ নেবে নিউজিল্যান্ড। সেখানে ভালো করতে পারলে রেটিং পয়েন্ট বাড়ার পাশাপাশি ছয় নম্বরে ওঠার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে ১২ পয়েন্ট এগিয়ে থাকায় সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন আরো উজ্জ্বল হলো টাইগারদের।

আইসিসির র‌্যাঙ্কিং: (বন্ধনীতে রেটিংয়ের যোগ-বিয়োগ)

১. দক্ষিণ আফ্রিকা ১২৩ (+৪)

২. অস্ট্রেলিয়া ১১৮ (০)

৩. ভারত ১১৭ (+৫)

৪. নিউজিল্যান্ড ১১৫ (+২)

৫. ইংল্যান্ড ১০৯ (+১)

৬. শ্রীলঙ্কা ৯৩ (-৫)

৭. বাংলাদেশ ৯১ (-১)

৮. পাকিস্তান ৮৮ (-২)

৯. ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৯ (-৪)

১০. আফগানিস্তান (৫২) (০)