জোড়া লাগানো হলো বিচ্ছিন্ন হওয়া হাত

সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রথমবারের মতো সফলভাবে পাথর শ্রমিক জহুরা নামের এক মহিলার বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাতে সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতির নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এতো বড় একটি অস্ত্রোপচার সিলেট অঞ্চলের চিকিত্সাসেবাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিল। এটি একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন অস্ত্রোপচারে নেতৃত্বদানকারী চিকিত্সক ডা. হাসিব রহমানসহ অনেকেই। সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে একটি স্টোন ক্রাশার মেশিনে কাজ করেন দিনমজুর জহুরা বেগম। গত রবিবার সকালে কাজ করতে গিয়ে যন্ত্রের নিচে চাপা পড়ে দুই টুকরো হয়ে যায় তার ডান হাত। দুর্ঘটনার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর জহুরা তার টুকরো হয়ে যাওয়া হাতের অংশ নিয়ে আসেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গত রবিবার রাতে সেখানকার চিকিত্সকরা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে জহুরার টুকরো হয়ে যাওয়া হাত জোড়া লাগাতে সক্ষম হন।

চিকিত্সকরা জানান, জহুরা বেগমের শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা উন্নতির পথে। তার জোড়া লাগানো হাত শতভাগ কাজ না করলেও অনেকটাই কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ডা. হাসিব বলেন, আমাদের এখানে তো তেমন কোনো সাপোর্ট নেই। দুর্ঘটনার অনেক পরে রোগী আমাদের কাছে আসে। ফলে অস্ত্রোপচারটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে একটু বেগ পেতে হয়। এতে তাদের সহায়তা করেন ডা. সুবাল, ডা. ইকবাল, ডা. আব্দুল লতিফ ও দায়িত্বরত শিক্ষানবিশ চিকিত্সকরা। জহুরা বেগম বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তার স্বামী পাথর ভাঙা মিলের শ্রমিক কদর আলি বলেন, চিকিত্সকসহ সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমার স্ত্রীর হাত জোড়া লাগানো সম্ভব হয়েছে। ডাক্তারদের চেষ্টায় স্ত্রীর হাতের চিকিত্সা পেয়ে তিনি কৃতজ্ঞ।