মহামায়ায় পাহাড় ও ঝরনার হাতছানি

মিরসরাইয়ের সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র মহামায়া ইকো পার্ক। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক মহামায়াকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্রের এক দিকে রয়েছে ঝরনা, অন্যদিকে পাহাড়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঠাকুরদীঘি বাজার থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পূর্বে মহামায়া ইকো পার্ক। মাঝখানে লেক। দুই পাশে রয়েছে সারি সারি পাহাড়। পাহাড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। প্রতিবছর শীতের মৌসুমে অতিথি পাখিরা ভিড় করে এখানে। প্রকৃতিপ্রেমীরা মহামায়ায় এলে লেক, ঝরনা ও পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। অতিথি পাখির আগমনে ভিন্ন মাত্রা যোগ হয় লেকের সৌন্দর্যে। আঁকাবাঁকা লেকে নৌকায় চড়ে বেড়ানোর চমত্কার সুযোগ রয়েছে এখানে। লেকের পানিতে রয়েছে রুই, কাতলসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। ৫শ’ টাকা দিলেই মিলবে মাছ ধরার সুযোগ। প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বনভোজনে মহামায়ায় আসে। জনপ্রতি প্রবেশ মূল্য ২০ টাকা। গত ৩০ মার্চ মহামায়া সেচ প্রকল্প পরিদর্শনে আসেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিন মন্ত্রী ইঞ্জিনচালিত বোটে চড়ে মহামায়া লেকের ঝরনাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে মন্ত্রীরা জানান, মহামায়াকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে সব ধরনের সহায়তা করবে সরকার। উপজেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ফোরামের সভাপতি ডা. জামশেদ আলম জানান, মহামায়া লেক দেশের জন্য একটি সম্পদ। একে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হলে সরকার লাভবান হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়া আহম্মদ সুমন জানান, তিন মন্ত্রী পরিদর্শনে এসে মহামায়া লেক দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। কারণ মহামায়া হচ্ছে দেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক। ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের পাশে এমন বড় ও সৌন্দর্যময় লেক আর নেই। শিগগিরই মহামায়া এলাকায় ভাসমান রেস্টুরেন্ট, টয়লেট, কটেজসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।