আইপিইউ সম্মেলনে যোগ দিতে আসা বেশির ভাগ বিদেশি অতিথির চলাফেরার ওপর মৌখিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাংলাদেশি মিশন। বিশেষ করে একা চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছিল তাঁদের। কারণ হিসেবে নিরাপত্তার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে বেশির ভাগ অতিথি ওই নিষেধাজ্ঞা মানেননি বলে দাবি করেছেন সম্মেলনে বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের প্রধান ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বেশির ভাগ বিদেশি অতিথিকে ঢাকায় একা চলাফেরা করতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে অনেক অতিথি ওই নিষেধাজ্ঞা মানেননি। তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে একা চলাফেরা করেছেন। শপিংয়ে ঘুরেছেন। অনেকে কেনাকাটা করেছেন। তিনি বলেন, ‘অতিথিরা আমাদের জানিয়েছেন, ঢাকাকে তাঁদের কাছে বিপজ্জনক মনে হয়নি। বরং চমৎকার শহর মনে হয়েছে। ’
প্রতিনিধিদলের সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, আফগানিস্তান থেকে আসা আলী জানিয়েছেন, ঢাকার কয়েকটি শপিং মলে ঘুরে পরিবারের সদস্যদের জন্য তিনি কিছু জামাকাপড় কিনেছেন। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
প্রতিনিধিদলের আরেক সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘অনেকে আমার কাছে ঢাকা সম্পর্কে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে তাঁরা বাংলাদেশকে নতুন করে মূল্যায়ন করেছেন। কয়েক বিদেশি অতিথি জানান, বাংলাদেশ সম্পর্কে তাঁরা যেসব কথা এত দিন শুনে এসেছেন তার বেশির ভাগই সত্য বলে মনে হচ্ছে না। বরং দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলা দেশের উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ’
স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) অ্যাসেম্বলিতে আসা যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড, পোল্যান্ড ও মঙ্গোলিয়ার প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাক্ষাৎকালে তাঁরা আইপিইউ, বাংলাদেশের সংসদীয় কার্যক্রম, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনাকালে থাইল্যান্ড প্রতিনিধিদলের প্রধান ও ন্যাশনাল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলির প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সুরাচি লিয়েনবুনলার্টচাই বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু এবং উন্নয়ন অংশীদার। তিনি থাইল্যান্ডের নতুন সংবিধান প্রণয়নের বিষয়টি স্পিকারকে অবহিত করেন।
ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক : সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির সদস্য প্রফেসর ড. রি জং জুকের নেতৃত্বে ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়ার প্রতিনিধিদল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তাঁরা কোরিয়া ও বাংলাদেশ সংসদের মধ্যে পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠনের প্রস্তাব করেন।