সিংড়ায় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে কলা চাষ

ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে কলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার কৃষকদের। কীটনাশকের ব্যবহার ছাড়াই শতভাগ রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণমুক্ত কলা উত্পাদনের জন্য ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি এ অঞ্চলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চলতি বছরে উপজেলার ইটালি, কলম, চামারী, হাতিয়ানদহসহ কয়েকটি ইউনিয়নে এ পদ্ধতিতে কৃষকরা কলা চাষ শুরু করেছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, জমিতে ও পুকুরের চারধারে সারি সারি কলা গাছ। এসব গাছে ঝুলছে বিশেষ ধরনের পলিথিন। এই পলিথিন দিয়েই মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কলার কাঁদি। ইটালি ইউনিয়নের শিহাব উদ্দিন ও আ. জলিলসহ এ পদ্ধতিতে কলা চাষি ইউনিয়নের কয়েকজন জানান, কলার আকার বড় করতে এবং পোকামাকড়মুক্ত কলা চাষের জন্য প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করার প্রয়োজন হতো। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী কীটনাশক ছাড়াই ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে কলা চাষ শুরু করেছি। এতে বিষমুক্ত কলা উত্পাদন করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি মানব দেহ রোগবালাই থেকে রক্ষা পাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার সাজ্জাদ হোসেন জানান, বিগত দিনের চেয়ে উপজেলায় কলার চাষ বাড়ছে। গত বছর উপজেলায় ১৪০ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়েছিল। চলতি বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে কলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। উপজেলায় ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে কলা চাষ দিন দিন জনপ্রিয়তা লাভ করছে। এতে করে নিশ্চিত হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তা। কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে না। যার কারণে কৃষকদের বাড়তি খরচ কমে যাচ্ছে। কলা চাষের জন্য নাটোর জেলার আবহাওয়া এবং মাটির বিশেষ ভূমিকা রাখছে। যার কারণে পুকুর পাড় ও পতিত জমিতে স্বল্প খরচে কলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা। বিষমুক্ত কলা উত্পাদন করে উপজেলা থেকে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।