সবক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষাই বড় চ্যালেঞ্জ * নানাভাবে শুধু দিয়েই যাচ্ছে, প্রাপ্তি কম * রাজনৈতিক পর্যায়ে আস্থার অভাব দূর করার চেষ্টা * অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ভূমিকা রাখবে
পররাষ্ট্রনীতির বৃহত্তর ক্যানভাসে হাঁটতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। বৃহৎ প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ‘মডেল সম্পর্ক’ গড়ে উঠছে। পাশাপাশি বিশ্বের অন্য বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যের কূটনীতি চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। বিশেষ করে এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান শক্তি চীনের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঘোষণার পর এখন গতি ধরে রাখার চেষ্টা চলছে। জাপানসহ দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে জোরদার করা হচ্ছে অর্থনৈতিক কূটনীতি। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে। সৌদি আরবসহ মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বন্ধন নিবিড়তর করতে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি জাতিসংঘসহ বহুপক্ষীয় কূটনীতিতে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বিস্তর। বাংলাদেশ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রফতানি করে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলারের বিপরীতে আমদানি করে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। মোট ঘাটতি দাঁড়ায় ৬ বিলিয়ন ডলার। স্থানীয় মুদ্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা। এ টাকা দিয়ে দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। এই ঘাটতি কামানো, জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে প্রভাবশালী দেশ ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী ও ভারসাম্যমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাচ্ছে সরকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও নতুন নতুন নামে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মেরুকরণ চলছে। বাংলাদেশও এ প্রক্রিয়া থেকে পিছিয়ে পড়তে চায় না। ফলে পুরনো সম্পর্কগুলো ঝালাই করার পাশাপাশি নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। নতুন নতুন সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক পর্যায়ে আস্থার অভাব দূর করতে সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো. তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বৈদেশিক সম্পর্কের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়া খুবই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, কোনো কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক স্থবির হয়ে পড়েছে। সেগুলো চাঙ্গা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক পর্যায়ে সম্পর্ক আরও উন্নত করার চেষ্টা চালাতে হবে। তিনি আরও বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বাংলাদেশের সম্পর্ক ভালো থাকা উচিত।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাংলাদেশের প্রতি বিদেশী বিনিয়োগে আস্থা বাড়াবে। আমদানি রফতানির মধ্যে ভারসাম্য তৈরি হবে। কমবে বাণিজ্য ঘাটতি। এছাড়া নির্বাচনসহ অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা না গেলে বাংলাদেশের ওপর বাইরের নাক গলানো বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে বলেও তারা আশংকা প্রকাশ করেন। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ এখনও কাটেনি। যত দ্রুত সম্ভব এগুলো দূর করতে হবে। অন্যথায় নতুন বলয়ও খুব বেশি কাজে আসবে না। তাদের মতে, বাংলাদেশ নানাভাবে শুধু দিয়েই যাচ্ছে। প্রাপ্তির পরিমাণ খুবই কম। প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের উদ্বেগ নিরসনে তেমন কিছু হয়নি। তিস্তা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এটা হলেও বলা যেত বাংলাদেশ কিছু পেয়েছে। সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন দু’দেশের জন্যই লাভজনক হয়েছে। কারণ এটা দুদেশেরই সমস্যা ছিল। একইভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও চুলচেরা হিসাব করতে হবে।
বিস্তৃত কূটনৈতিক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভারসাম্য রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে চলে আসছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কূটনীতিক যুগান্তরকে বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থরক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য যে বলয়ে আমাদের থাকা দরকার; আমরা সেখানেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এক্ষেত্রে নতুন কোনো ফ্রন্ট খোলার প্রয়োজন হলে সেটাও খোলা হচ্ছে। এই সময়ে আমরা একটা ভারসাম্য রেখে চলার নীতিতে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা মনে করি, এই নীতিতে আমাদের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষা হবে।’ ভারসাম্য রক্ষার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা ইচ্ছা করলে বড় প্রকল্পের সবগুলো চীনকে দিতে পারতাম। চীন যে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নের সামর্থ্য রাখে। কিন্তু আমরা সেগুলো ভাগ করে দিয়েছি। রেলের কাজ দিয়েছি যুক্তরাজ্যকে। অন্যান্য বড় বড় প্রকল্পের কাজ ভারত, রাশিয়া, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশকে ভাগ করে দিয়েছি। সৌদি বাদশাহ বাংলাদেশ সফরে এলে বিপুল বিনিয়োগ আশা করছি। এছাড়া সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের জনশক্তি রফতানির স্বার্থ জড়িত রয়েছে। এসব কারণে আমরা সৌদি সামরিক জোটে সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অপর উচ্চপদস্থ কূটনীতিক বলেন, ‘ভারত আমাদের সঙ্গে সম্পর্ককে মডেল হিসেবে দেখাতে চায়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীতি হল ‘প্রতিবেশী প্রথম’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে সেই নীতির প্রতিফলন আমরা আশা করছি।’ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এই উন্নতির গতি ধরে রাখতে চায় বেইজিং। এ লক্ষ্যে এপ্রিলে আমাদের দুই দেশের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মে মাসে চীনের বড় ইভেন্ট এক অঞ্চল এক পথ সম্মেলনে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী যোগ দেবেন।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের রাজনৈতিক পর্যায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চাইছে বাংলাদেশ। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম টডের সফরকালে ঢাকার পক্ষ থেকে এমন আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক কিছুদিন আগে ওয়াশিংটন সফর করেছেন। বাংলাদেশ আশা প্রকাশ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনে রাজনৈতিক পর্যায়ে নিয়োগ পুরোপুরি সম্পন্ন হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে উচ্চতর রাজনৈতিক পর্যায়ের কেউ যেন ঢাকা সফরে আসেন। যুক্তরাষ্ট্রে আগের প্রশাসনের সময়ে ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে রাজনৈতিক পর্যায়ে আস্থার অভাব ছিল। নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে বাংলাদেশ সেই আস্থাহীনতা দূর করতে চাইছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের শক্তিশালী দেশ জার্মানি সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। পাশাপাশি আগামী কিছুদিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডেন, ডেনমার্কসহ নরডিক দেশগুলো সফরে যাবেন। নরডিক দেশগুলো মুক্তিযুদ্ধের পরপরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তাছাড়া ইইউ থেকে যুক্তরাজ্য বেরিয়ে যাওয়ায় দেশটির সঙ্গে পৃথক সম্পর্ক নির্ধারণে চলতি মাসেই ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ে কৌশলগত সংলাপ হতে যাচ্ছে। এভাবে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচানোর চেষ্টা করছে সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলো কঠোর সমালোচনা করেছিল। এখন সেই সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি জাতিসংঘসহ বহুপক্ষীয় কূটনীতিতে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে রোহিঙ্গা ইস্যুর দ্বিপক্ষীয় সমাধানে ব্যর্থ হওয়ায় এই ইস্যুকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তৎপর ঢাকা। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ইস্যুর ন্যায্য সমাধানে কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় কাটছে না। বরং ক্ষেত্রবিশেষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপরও চাপ দিচ্ছে। বিদেশীদের এজেন্ডা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে কতটা অনুকূল সেটিও বিবেচনায় আনার জন্য বিশ্লেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে বিগত কয়েক দশকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হয়নি। এখন আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে এই সংকট সমাধানের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে অন্যান্য ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে মিয়ানমারবিরোধী কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।’ আঞ্চলিকভাবে সার্কের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবনের প্রতি জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্ককে বাঁচিয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামনিয়াম জয়শঙ্কর সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এই অভিমত জানান। এই সংস্থায় নতুন মহাসচিব নিয়োগে মতৈক্য প্রতিষ্ঠাসহ সাম্প্রতিক কিছু কার্যক্রমে সার্কে বরফ গলার বিষয় দৃশ্যমান হচ্ছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত আবদুল হান্নান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আমাদের কূটনীতির লক্ষ্য ছিল জাতিসত্তার স্বীকৃতি আদায়, বিশ্বে নিজেদের পরিচিত করে তোলা। ওই সময়ের বলয় আর এখনকার পরিস্থিতি এক নয়। এখন বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাচ্ছে। পাশাপাশি সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ বেশ সফল হচ্ছে। আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা দক্ষতা বৃদ্ধি ও সামর্থ্য বাড়াতে আমাদের সহযোগিতা করছে। ফলে বাংলাদেশের বর্তমান প্রবণতা ইতিবাচক বলে আমি মনে করি। তবে এটাও ঠিক যে, আমাদের অনেক দূর যেতে হবে। সেজন্য অনেক বেশি মাত্রায় সম্পৃক্ত হতে হবে।’
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে বিদেশী নাক গলানো কমেছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কসোভোকে স্বীকৃতি দেয়ার পর রাশিয়া টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেনি। বরং রাশিয়ার সঙ্গে আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি করেছি। তাছাড়া রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলো আমাদের এখন আর তেমন প্রশ্ন করে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনে অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতায় থাকার সুযোগে রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে বিদেশীরা নাক গলানোর সুযোগ পেয়েছিল। আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশীদের নাক গলানোর সুযোগ আরও কমে যাবে।’ এ ব্যাপারে একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক যুগান্তরকে বলেন, ‘নির্বাচন ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। তবে আমরা এ নিয়ে প্রকাশ্যে তেমন কোনো মন্তব্য করছি না। কারণ এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হয় কিনা সে সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস (বিস) চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমদ যুগান্তরকে বলেছেন, ‘আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খুব বেশি খারাপ নয়। তবে অবকাঠামোর উন্নয়ন না করলে বেশিদূর অগ্রসর হওয়া যাবে না। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেন এর চেয়ে খারাপ হয়ে না যায়। দেশের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করলে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। হলি আর্টিজানের পর সফলভাবে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও নিশ্চিন্তে বসে থাকার সুযোগ নেই। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে।’