বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণতম রাজনীতিবিদদের একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৮১ সাল থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে রেখেছেন সাফল্যের সুদীর্ঘ স্বাক্ষর। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দশম জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেত্রী। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে। এত দীর্ঘ সময় একটি দলের দায়িত্ব এবং বার বার প্রধানমন্ত্রী ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে বিশ্বে চমক সৃষ্টি করেছেন। জিডিপির বর্ধমান ধারা অব্যাহত রাখা ও অর্থনীতিতে দৃঢ় অবস্থান তৈরিতে তার ভূমিকা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত। নারী অধিকার নিশ্চিত করা, মাতৃ মৃত্যুহার ও শিশু মৃত্যুহার রোধ করে তিনি বিশ্বব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছেন। পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে তিনি বিশ্বনেতাদের দৃষ্টিতে অগ্রগামীদের একজন। শেখ হাসিনা ২০১০ সালে নিউইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর অনলাইন জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ১০ নারীর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে ছিলেন। এ ছাড়া ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় সপ্তম স্থানে, ফোর্বসের করা ২০১৬ সালে বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় ৩৬তম স্থানে আছেন তিনি। ২০১০ সালের ৮ মার্চ বিশ্ব নারী দিবসের শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বখ্যাত সংবাদ সংস্থা সিএনএন ক্ষমতাধর ৮ এশীয় নারীর তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেই তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে ছিলেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালে সমুদ্রসীমা জয়ের জন্য তিনি সাউথ সাউথ পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ৭০তম অধিবেশনে পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের জন্য আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার লাভ করেন। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা, নারী অধিকার, সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ধারাবাহিকতা রক্ষায় তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সমাদৃত।