একনজরে ভার্টিকাল ফার্ম ভার্টিকাল ফার্ম বা উলম্ব খামার উলম্বকাঠামোর মাধ্যমে মাটি এবং সূর্যের আলো ছাড়াই ফসল রোপণ ও জন্মানোর পদ্ধতি। শস্য, শাক-সবজি প্রভৃতি বহুতলা স্থাপনার ভিতর স্তরে স্তরে উৎপন্ন করাই উলম্ব খামার। অত্যাধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে বহুতলা স্থাপনার ভিতর কৃত্রিম উপায়ে পরিবেশ যথা-তাপ, আর্দ্রতা প্রভৃতি নিয়ন্ত্রণ করে কৃষিপণ্য উৎপাদন করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে এতে সূর্যালোকও ব্যবহার করা যায়।
কৃষিবিদ এম আব্দুল মোমিন
প্রচলিত খামারে উৎপন্ন ফসল অপেক্ষা উলম্ব খামারে উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ হয় বহুগুণ ছবি : ইন্টারনেটউলম্ব খামারের (ঠবৎঃরপধষ ঋধৎসরহম) ইতিহাস খুব বেশি দিনের নয়। কৃষিতে এটি একটি নতুন ধারণা। জমি কমছে মানুষ বাড়ছে। ফলে ফসলি জমির এরিয়া বাড়ানোর সুযোগ সীমিত কিন্তু ওপরের দিকে বা উলম্বভাবে বাড়াতে তো বাধা নেই! আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে এটি নতুন ধারণা হলেও বিশ্বের অনেক দেশেই এটি এখন বাস্তবতা। বাণিজ্যিক উলম্ব খামার খুব বেশি বছর আগে নির্মিত হয়নি। ১৯৫১ সালের আগে আর্মেনিয়ায় সুউচ্চ স্থাপনায় বাণিজ্যিকভাবে উলম্ব খামারে নির্মিত হয়েছিল। উলম্ব খামারে ফসল চাষাবাদের একটি ছবি ১৯০৯ সালে সাময়িক পত্রিকা টাইম ম্যাগজিনে ছাপা হয়েছিল। এই ছবিটিই পরে অনেককেই উলম্ব খামার নির্মাণে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করেছিল। বর্তমানে কৃষিবিজ্ঞানী, স্থাপত্যবিদ, বিনিয়োগকারীরা বিশ্বব্যাপী উলম্ব খামারের ধারণাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশে উপযোগিতা
জনসংখ্যার অনুপাতে আয়তনে বাংলাদেশ খুবই ছোট একটি দেশ। এ দেশের জনসংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রায় ১৮ কোটি জনসংখ্যার বিপরীতে বিগত ২০ বছরেই কৃষি জমি কমেছে ১১,৪৫,০০০ (এগারো লাখ পয়তালি্লশ হাজার) হেক্টর। ফলে অদূর ভবিষ্যতে বিপুল পরিমাণে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। তাই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলাপর্যায়ে পরিত্যক্ত অনাবাদি এবং আবাদি জমিতে এরূপ খামার স্থাপন করা যায়। প্রকৃতপক্ষে, একই জমির ওপর বহুতল স্থাপনা নির্মাণ করে জমির পরিমাণ বৃদ্ধি করে অধিক পরিমাণে খাদ্যোৎপাদন করাই এরূপ খামারের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য। তাছাড়া এরূপ খামারের ভেতরেই আবাসনের ব্যবস্থা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করা যায়। ফলে আবাসনের জন্য আলাদা জমির কোনো দরকার হয় না। তাই আবাদি জমির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকে না। ভূমির পরিমাণ কম থাকার কারণে বাংলাদশের জমির মূল্য অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। তাই উলম্ব খামার নির্মাণ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে একটি বিকল্প উপায়। এ পদ্ধতিতে খামার স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ খুবই সহজ। এ খামারে চাষাবাদ করা পরিবেশগতভাবে সুবিধাজনক এবং পরিবেশ অতি অল্পমাত্রায় দূষণ করে। উলম্ব পদ্ধতির খামার হলো স্থাপনার ভেতর সুরক্ষিত পরিবেশের মধ্যে প্রাকৃতিক সূর্যালোকের সহায়তায় সারাবছর চাষাবাদ করা।
উলম্ব খামারের ধারণা
সাশ্রয় (জবফঁপব), পুনঃব্যবহার (জবঁংব) এবং চক্রাকারে ব্যবহার (জবপুপষব) এই তিনটি মৌলিক বিষয়ই হলো এই খামার এবং প্রযুক্তির মূল আকর্ষণ। এই খামারপদ্ধতি স্থায়ীভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ, নিরাপদ উৎপাদন, উৎপন্ন পণ্যের উচ্চমান নিশ্চিত করে এবং উৎপাদিত পণ্য সহজে ভোক্তার কাছে সরবরাহে সহায়তা করে। এধরনের উদ্যোগের একটি সাধারণ উদ্দেশ্য হচ্ছে শহুরে স্বল্প জায়গাগুলোকে বার বার ব্যবহার করা এবং স্থানীয়ভাবে বসবাসকারী মানুষের জন্য সতেজ শাক-সবজি উৎপাদন করা ও দৈনন্দিন খাবারে তা ব্যবহার করা। ফলে ভোক্তা এবং ব্যবসায়ীর মধ্যে যে বিশাল দূরত্ব সেটাও কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। আর পরিবহনের জন্য যে জ্বালানি ব্যবহার হয় তা সংরক্ষণ ও পরিবেশের ওপর চাপ কমানো যাবে। পাশাপাশি আরেকটি সুবিধা হচ্ছে এই অভ্যন্তরীণ চাষের মাধ্যমে স্বল্প পানি ও জ্বালানির ব্যবহার যা মানসম্মত কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার অনুকরণীয়।
উলম্ব খামারের যত সুবিধা
উলম্ব খামারের সুবিধা অনেক। ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ৮০% শতাংশ মানুষ শহরতলীতে বসবাস করবে। তখন দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হবে প্রায় ৩০ কোটি। এই বিপুল পরিমাণ মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য অনেক কৃষি জমির প্রয়োজন হবে। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে যেমন-নদীভাঙন এবং মানুষের আবস্থান ও কল-কারখানা নির্মাণে ব্যাপক পরিমাণ ভূমি ব্যবহারের দরুন কৃষিকাজের জন্য প্রয়োজনীয় কৃষিজমি পাওয়া যাবে না। তাছাড়া বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপুল পরিমাণ ভূমি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তখন শুধু উলম্ব খামার যদি সঠিকভাবে নির্মাণ করা যায়, তবেই কৃষিকাজের জন্য অতিরিক্ত ভূমির চাহিদা মেটাতে পারবে এবং পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা সম্ভব হবে।
দেশে প্রচলিত গতানুগতিক খামারে উৎপন্ন ফসল অপেক্ষা উলম্ব খামারে উৎপন্ন ফসলের পরিমাণ হয় বহুগুণ বেশি। কারণ উলম্ব খামারে সারাবছর ফসল উৎপন্ন করা যায়। ফসলের প্রকৃতি ভেদে উৎপাদনের পরিমাণ হবে ৪-৬ গুণ বেশি। আবার অনেক ক্ষেত্রে তার চেয়েও বেশি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদ থাকা এর আরেকটি সুবিধাজনক দিক। প্রচলিত পদ্ধতিতে তথা মাঠের কৃষি ক্ষেত্রে ফসলাদি নানারূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন-খরা, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস প্রভৃতি দ্বারা আক্রান্ত হয়। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ারও পরিবর্তন ঘটছে। ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে খাদ্যদ্রব্য নিরাপদে রক্ষণাবেক্ষণের গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিবছর এই দেশের কোনো না কোনো অঞ্চলে শুধু ক্ষেতের ফসলই নষ্ট হয় না_ জমির উপরিভাগ ও হাজার হাজার ঘড়বাড়ি, স্থাপনা এবং বনাঞ্চল ধ্বংস হয়। উলম্ব খামারে চাষাবাদ হয় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে। যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্যোৎপাদনে তেমন অসুবিধা হয় না। প্রচলিত কৃষি ব্যবস্থায় মৌসুমী ফসল বপনের পর কৃষিক্ষেত্র থেকে বিপুল পরিমাণ কৃষিশ্রমিক প্রত্যাহর করা হয়। ফলে শ্রমিকদের কাজের অভাব হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সারাবছর শ্রমিকের কাজের সুযোগ থাকে। তবে উলম্ব খামারে চাষাবাদ করলে প্রচলিত পদ্ধতির চাষাবাদ তথা জমিতে মই দেয়া, চারা রোপণ, ফসল কাটা এবং কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার কমিয়ে আনা সম্ভব হয়। উলম্ব খামার পদ্ধতিতে তুলনামূলকভাবে খুবই কম কৃষিজমি এবং বনভূমি ধ্বংস করে। অধিকন্তু উলম্ব খামার শিল্প বর্ধিত শহরতলীতে বিপুল পরিমাণ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে। প্রচলিত খামার থেকে কর্মহীন হয়ে যেসব লোকজন কাজের খোঁজে শহরে যায় তাদের উলম্ব খামারেই কাজের ব্যবস্থা হবে। তাই কাজের খোঁজে শহরে বা নগরে যাওয়ার আর প্রয়োজন হবে না। ফলে শহরে বিপুল পরিমাণ মানুষের সমাবেশ হবে না এবং মানুষের চাপ কমবে।
এই পদ্ধতি কীট-পতঙ্গ, পশু-পাখির উপদ্রব থেকে ফসল রক্ষা করা যায়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু ইঁদুরের দ্বারাই প্রতিবছর বাইরের কৃষিক্ষেত্রে হাজার হাজার টন ফসল ধ্বংস হচ্ছে। তুলনামূলকভাবে উলম্ব খামারে ক্ষতিকর কীট-পতঙ্গ, বন্যপ্রাণীর দ্বারা ফসল ধ্বংসের পরিমাণ হয় খুবই কম। তাই বর্তমানে কৃষি বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বিকল্প কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলে বর্তমানে প্রচলিত কৃষিব্যবস্থা সীমিত করা যায়।
উলম্ব খামারে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়। ফলে বাইরে থেকে জ্বালানি সংগ্রহের প্রয়োজন হবে না। প্রয়োজনীয় জ্বালানি খামারেই উৎপন্ন হবে। তাই বাইরে থেকে কোনোরূপ জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন_ খনিজ তেল, বিদ্যুৎ, গ্যাস প্রভৃতি প্রয়োজন হবে না ।
উলম্ব খামার ব্যবহারের জন্য অবশ্যই পানির প্রয়োজন হয়। পানি ছাড়া কৃষি চিন্তাই করা যায় না। ট্যাঙ্ক বা আধার নির্মাণ করে তাতে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব। তাছাড়া অগভীর পানির পাম্প ব্যবহার করে খামারের নিচে মাটি থেকে পানি তুলে পানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।
কয়েকটি বিশ্বখ্যাত উলম্ব খামার উদ্যোগ
বিশ্বের সর্ববৃহৎ উলম্ব খামার তৈরি করা হয়েছে সম্প্রতি আমেরিকার নিউ জার্সিতে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কৃষি খামার প্রতিষ্ঠান অ্যারোফার্মস (অবৎড়ঋধৎসং) নিউইয়র্কে একটি পুরাতন স্টিল মিলের ভেতর ৬,৫০০০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে নতুন একটি সেট স্থাপন করেছে। যা অ্যারোফার্মসের বর্তমান ২,৮০০ বর্গমিটার সাইটের থেকে মাত্র এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। এটির কাজ সম্পন্ন হলে উলম্ব খামার থেকে উল্লেখযোগ্য হারে তাজা শাক-সবজি সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। একের পর এক ২৪ মিটার উঁচু তাক বসিয়ে যে পরিমাণ জায়গা তৈরি হচ্ছে তাতে কোম্পানিটি বছরে ৯ লাখ কেজি শাক-সবজি উৎপাদনের আশা করছেন।
অ্যারোফার্মস যেভাবে তাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তা আরও অসাধারণ। পুরোপুরিভাবে কীটনাশকমুক্ত এবং ছাদের তলায় সূর্যের আলোর পরিবর্তে স্বল্পশক্তির এলইডি লাইটের আলোয় স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে উৎপাদন কাজ পরিচালনা করা হয়। এর মাধ্যমে সবজির গুণাগুণ, রং, গন্ধ অটুট রেখে উৎপাদন বৃদ্ধির উপযোগী করা হচ্ছে। কোম্পানিটি বলছে এই পদ্ধতির মাধ্যমে একই পরিমাণ জায়গায় জমির ৭৫ গুণ বেশি ফসল উৎপাদন সম্ভব।
লন্ডনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি টানেল যা এখন পরিত্যক্ত সেখানে একটি উলম্ব খামার কোম্পানি উলম্ব খামারের জন্য উপকরণ স্থাপন করেছে, জার্মানিতেও সুপারমার্কেটের ভেতরে ক্ষুদ্র উলম্ব খামারের চাষ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। ইউরোপের অন্যত্র নেদারল্যান্ডে টেকসই গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমে উলম্ব চাষপদ্ধতিতে শহরের অভ্যন্তরে নিজেদের প্রয়োজনীয় জৈব খাবারের জোগানের দিকে দৃষ্টিপাত করছেন।
উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য
অ্যারোফার্মসের বিপণন প্রধান এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক ওশিমা বলেন, খাদ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বৃদ্ধি এবং আবহাওয়া ও জলবায়ুর নাটকীয় পরিবর্তনের জন্য খাদ্যনিরাপত্তা ও কীটনাশক সমস্যার জন্য উন্মুক্ত জমিতে ফসল উৎপাদন চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠছে। আমাদের জন্য নতুন দৃষ্টান্ত প্রয়োজন এবং উলম্ব খামার চাষপদ্ধতি এই পরিবর্তনশীলতার ওপর বেশি করে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম করবে। অ্যারোফার্মসের সবজি আসলে মাটিতে রোপণ করা হয় না। এগুলো মূলত প্লাস্টিককে পুনঃব্যবহার করে বার বার ব্যবহার করার মতো তৈরি কাপড়ের সিটে করে রোপণ করা হয় এবং মৃদু পানির ফোয়ারার স্প্রে থেকে সবজিগুলো পুষ্টি গ্রহণ করে থাকে। এই কৌশলের মাধ্যমে হাইড্রোফোনিক পদ্ধতি থেকে ৪৫ শতাংশ এবং মাঠ চাষপদ্ধতি থেকে ৯৫ ভাগ কম পানি ব্যবহার হয়।
উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পরিবেশ বিজ্ঞানী স্টিফেন জে ভেনচার বলেন, শহরের মতো এমন ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা যেখানে জায়গা খুবই সীমাবদ্ধ, এরকম পরিস্থিতিতে কৃত্রিম আলোয় উৎপাদিত খাদ্য এবং এটি উলম্বভাবে সংরক্ষণ করে যা স্পাউট বা সালাদ সবজির মতো পচনশীল পণ্যগুলোর একটি তাৎক্ষণিক ও স্থানীয় বাজার ব্যবস্থায় সরবরাহ করার প্রয়োজনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।