খোকসায় বাণিজ্যিকভাবে কালিজিরা আবাদ শুরু

কুষ্টিয়ার খোকসার কৃষকরা ঔষুধী গুনে সমৃদ্ধ কালোজিরার বাণিজ্যিক ভাবে আবাদ শুরু করেছে। পদ্মবিলা গ্রামের গৃহবধূ স্বপ্না রানী বিশ্বাস ৮ কাঠা জামিতে কালিজিরা চাষ করেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ২১ বিঘা জমিতে কৃষকরা ওষুধ গুনে সমৃদ্ধ কালোজিরা আবাদ করেছে। বিগত বছর গুলোতে দশকাহুনিয়া, ঈশ্বরদী, একতারপুর, মাঠপাড়ার, শ্যামপুর, ফুলবাড়িয়া ও পদ্মবিলা গ্রামের কিছু কৃষকরা নিজেদের সংসারের চাহিদা মাফিক কালোজিরা, মওরী, মেথিসহ বিভিন্ন মসলা জাতীয় ফসলের আবাদ করত। গত বছর কয়েকজন চাষী পরীক্ষামূলক কালোজিরার আবাদ করে। তবে এ বছরই প্রথম বাণিজ্যিক ভাবে কালোজিরার আবাদ হয়েছে।
পদ্মবিলা গ্রামের সরেজমিন গিয়ে কালোজিরা চাষী বিধবা স্বপ্না রানী বিশ্বাসের সাথে তার জমিতে দেখা হয়। তিনি নিজেই শ্রমিক। তার ছেলে সন্তান নেই। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামীর রেখে যাওয়া ২ বিঘা জমিতে সবজী চাষ করে তার সংসার চলে। তিনি বলেন, দেখা-দেখি চাষ, দেখা-দেখি বাস, প্রতিবেশী চাষী মনোজিৎ, স্বপন বিশ্বাস, কামাল, ময়েন উদ্দিন ও পরেশ মেম্বর প্রায় ৫ বিঘা জমিতে কালোজিরা চাষ করেছে। তাই তিনিও ৮ কাঠা জমিতে কালোজিরার চাষ করেছেন। সারা মাঠে এখন ফুল ও ফল আসতে শুরু করেছে। বীজ, সার ও সেচসহ তার খরচ হয়েছে মাত্র দুই হাজার টাকা। কালোজিরা চাষে বিঘা প্রতি ব্যয় হয় মাত্র ৪ হাজার টাকা। ফলন হলে এক বিঘা জামিতে ২শ কেজি জিরা পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা। কৃষকরা জানায় বীজ বপণ থেকে কাটা পর্যন্ত ৪ মাুস সময় লাগে এ ফসলের জন্য। তাদের অভিযোগ কৃষি কর্মকতাদের বিরুদ্ধে, লাভ জনক নতুন কোন ফসল আবাদ শুরু করলে কৃষি বিভাগ তাদের কোন সহযোগিতা করে না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ সাহা বলেন, ওষুধ গুনে সমৃদ্ধ কালোজিরা চাষ অত্যন্ত লাভ জনক। ইতিপূর্বে কৃষকরা খ- খ- ভাবে মসলা জাতীয় ফসল আবাদ করত। এখর এসব ফসল বানিজ্যিক ভাবে আবাদ শুরু হয়েছে। এ জাতীয় ফসলের আবাদে কৃষকদের তিনি উদ্বুদ্ধ করছেন বলে জানান।