স্বর্ণ বিজয়ী পঞ্চকন্যা

এ বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ইসলামী সলিডারিটি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয়ী পাঁচ মেয়ে তিরন্দাজ। তারা হলেন রিকার্ভে মেয়েদের দলগত ইভেন্টে বিউটি রায়, রাদিয়া আক্তার শাপলা ও শ্যামলী রায়, কম্পাউন্ডে মিশ্র দলে সুস্মিতা বণিক এবং রিকার্ভে একক ইভেন্টে হীরা মনি। স্বর্ণপদক জয়ী চার তিরন্দাজের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন- রীতা ভৌমিক
স্বর্ণ বিজয়ী পঞ্চকন্যা
এটা শুধু অনুভব করা যায় : বিউটি রায়

আন্তর্জাতিক ইসলামী সলিডারিটি আর্চারি

রিকার্ভে মেয়েদের দলগত ইভেন্টে অংশ নিয়ে এই প্রথম স্বর্ণপদক পেলাম। এর আগেও অনেক চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সফল হতে পারিনি। এবার স্বর্ণপদক পাওয়ায় আলাদা একটা অনুভূতি হল। সেটা শুধু অনুভব করা যায়। ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। এভাবেই স্বর্ণপদক পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করলেন নীলফামারীর কুন্দপুকুর সাহপাড়ার মেয়ে বিউটি রায়।

কুন্দপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী বিউটি রায় আর্চারিতে অংশ নেন স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ভুবন মোহন তরফদারের হাত ধরে। এ নিয়ে রয়েছে একটি ছোট্ট ঘটনা। স্কুল ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিউটি হ্যান্ডবল, ভলিবল, দৌড়, লংজাম্প, হাইজাম্পে অংশ নিয়ে সেরাদের সেরা হন বিউটি। একজন ভালো খেলোয়াড় হিসেবে ক্রীড়া শিক্ষকের নজর এড়ায় না। তখন তিনি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। স্কুলের ক্রীড়া শিক্ষক ভুবন মোহন তরফদার একদিন ছাত্রীদের ডেকে বললেন, ‘নতুন একটি খেলা এসেছে। তোমরা কারা খেলতে আগ্রহী? যাদের আগ্রহ আছে তারা নীলফামারী স্টেডিয়ামে যাবে। সেখানে একজন জাতীয় দলের আর্চারির কোচ আসবেন। তার নাম নিশীথ দাশ।’ সময়টা ২০০৬ সাল। স্কুলে যারা ভালো খেলে তাদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে নিয়ে সকালবেলা ক্রীড়া শিক্ষণ ভুবন মোহন তরফদার নীলফামারীর স্টেডিয়ামে হাজির হন। সেখানে গিয়ে বিউটি দেখেন নীলফামারীর অন্য স্কুলের শিক্ষার্থীরাও সমবেত হয়েছেন। জাতীয় দলের কোচ নিশীথ দাশ তাদের সবাইকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে সকাল দশটা থেকে বেলা বারোটা এবং বেলা তিনটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত আর্চারির ওপর প্রশিক্ষণ দেন। এভাবে এক সপ্তাহ প্রশিক্ষণ দেন। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। এই প্রতিযোগিতায় বিউটি মেয়েদের মধ্যে তৃতীয় হন। কয়েকমাস পর ঢাকায় আসেন প্রশিক্ষণের জন্য। কমলাপুর স্টেডিয়ামে পনের থেকে এক মাস প্রশিক্ষণ নেন। এর পনের দিন পর ঢাকায় টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে চতুর্থ হন। এই টুনামেন্টে বাংলাদেশের সব জেলা থেকে বাছাইকৃত ছেলেমেয়েরা অংশ নেন। চতুর্থ হওয়ায় বিউটি ভারতের জামশেদপুরে আর্চারিতে মেয়েদের দলগত ইভেন্টে অংশ নেয়ার জন্য চূড়ান্ত বাছাই পর্বে মনোনীত হন। ভারতের জামশেদপুরে আর্চারির এই টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে মেয়েদের দলগত ইভেন্টে রোপ্যপদক পান। ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক টুনামেন্টে ২০০৯ সালে ব্রোঞ্জ পদক, ২০১৬ সালে ভারতের শিলংয়ে ১২তম সাউথ এশিয়া গেমসে মিশ্র বিভাগে রৌপ্যপদক পান।

বিউটি রায়ের বাবা দীপুরাম রায় একজন টেইলার। মা অনিতা রায় গৃহিণী। চার বোন তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ।

এই অর্জন সত্যি আনন্দের রাদিয়া আক্তার শাপলা

প্রথমবার বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ইসলামী সলিডারিটি আর্চারির রিকার্ভে মেয়েদের দলগত ইভেন্টে অংশ নিয়ে স্বর্ণপদক পেলাম। দলগতভাবে এই অর্জন সত্যি আনন্দের। এককভাবেও অংশ নিয়েছি। চেষ্টাও করেছি ভালো করার কিন্তু সেমিফাইনাল থেকে ফাইনালে যেতে পারলাম না। মেয়েদের দলগত ইভেন্টে স্বর্ণপদক জয়ের পাশাপাশি সেই ব্যর্থতাও রয়েছে। আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিন রাশিয়ায় ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড আর্চারি এর মিশ্র বিভাগে স্বর্ণপদক পাই। সেদিন ছিল ঈদুল ফিতর। ঈদের দিন স্বজনদের থেকে এত দূরে থেকেও স্বর্ণপদক পাওয়ায় সেই কষ্টটা ভুলে যাই। তবে এ বছরের নভেম্বর মাসে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ গেম রয়েছে। এখানে মিশ্র এবং একক বিভাগে ভালো করার চেষ্টা করব। এভাবেই নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন নাটোরের বড়বাড়িয়ার মেয়ে রাদিয়া আক্তার শাপলা।

রাদিয়া আক্তার শাপলার জন্ম, বেড়ে ওঠা নাটোরে। বাবা মোহাম্মদ হান্নান সরকার একজন ব্যবসায়ী। মা মোসাস্মৎ শরিফা বেগম গৃহিণী। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে শাপলা ছোট। গ্রামের মেয়ে হলেও ফুটবল, ক্রিকেটের প্রতি ছিল তার প্রচণ্ড ঝোঁক। নিয়মিত ফুটবল, ক্রিকেট খেলতেন। কিন্তু আর্চারি সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই ছিল না। তার খেলাধুলার প্রতি ঝোঁক দেখে বড় বোন মোসাস্মৎ সাবিনা খাতুন ছোট বোনকে একজন সেরা খেলোয়াড় তৈরি করতে চান। এজন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। ওর বড় বোনের বন্ধুর ভাই বিকেএসপি’র সুইমিংয়ের কোচ ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে রাদিয়া আক্তার শাপলা বলেন, বড় আপু বিকেএসপি’র সুইমিংয়ের কোচের সঙ্গে আমার খেলাধুলা নিয়ে কথা বলেন। তারই সহযোগিতায় সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময়ে ২০১৪ সালে বিকেএসপিতে ভর্তি হই। এখানে এসে আর্চারি সম্পর্কে জানতে পারি। বিকেএসপির ট্যালেন্ট হান্টে কোচ হিসেবে পাই মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন স্যারকে। তার কাছে তিন মাস প্রশিক্ষণ নিই। প্রশিক্ষণের পর বিকেএসপিতে ভর্তির সুযোগ পেলাম। আর্চারির ওপর দুজন কোচের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিই। একজন কোচ নূরে আলম অন্যজন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। তারাই আমাকে দক্ষ আর্চারি তৈরি করেন। এখানে প্রথম ছয় মাস ব্যাম্বো এরপর রিকার্ভে অংশ নিই। দুই মাসের মধ্যে আমি জাতীয় দলে আর্চার খেলার সুযোগ পাই। জাতীয় দলের কোচ নিশীথ দাশের (ভারতীয় কোচ) কাছে প্রশিক্ষণ নিই।

সত্যি খুবই ভালো লাগছে : শ্যামলী রায়

এই প্রথম আর্চারি রিকার্ভে মেয়েদের দলগত ইভেন্টে স্বর্ণপদক পেলাম। খুবই ভালো লাগছে বললেন নড়াইলের মেয়ে শ্যামলী রায়।

ছেলেবেলা থেকেই খেলাধুলার প্রতি ঝোঁক শ্যামলী রায়ের। রূপগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসেবে ২০০৮ সালে জেলা পর্যায়ে হ্যান্ডবল খেলেন। হ্যান্ডবল অনুশীলনের সময় নড়াইলের হ্যান্ডবলের কোচ রজিবুল ও নড়াইলের জেলা কোচ মোকসেদ তাদের আর্চারির কথা জানান। তারা তাদেরকে নড়াইলের কুড়িডোবের মাঠে আর্চারির প্রশিক্ষণের জন্য নিয়ে যান। সেই থেকে শুরু।

এ প্রসঙ্গে শ্যামলী রায় জানান, নড়াইলের কুড়িডোবের মাঠে আর্চারি প্রশিক্ষণের জন্য ক্যাম্প করা হয়। বিকেএসপি’র কোচ নূরে আলম স্যার এখানে ক্যাম্পিং করেন। দুই কোচের সঙ্গে সেখানে পৌঁছে দেখেন নড়াইলের স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েরা ওই ক্যাম্পিংয়ে অংশ নিয়েছে। তাদের মধ্যে তিনি এবং এবারে কম্পাউন্ডের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত আবুল কাশেম মামুনও ছিলেন। এখানে আর্চারির ওপর সাতদিনের প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে বাছাইকৃতদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। বাছাইকৃতদের এক মাসের প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় আনা হয়। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় ঢাকায় আসা হয়ে ওঠে না তার। তিন মাস পর ২০০৯ সালে সাউথ এশিয়া ক্যাম্পে অংশ নেয়ার জন্য ঢাকায় আসেন। তিন মাস প্রশিক্ষণ নিলেও আবার অসুস্থতার কারণে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া হয় না। ২০১০ সালে ব্যাম্বোতে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। কিন্তু চতুর্থ হন। ওখান থেকে বাছাই করে ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে রিকার্ভতে মনোনীত হন। জুনিয়র বিভাগে রিকার্ভতে মেয়েদের দলগত ইভেন্টে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে ব্রোঞ্জপদক পান।

শ্যামলীর বাবা গোবিন্দ রায় একজন ব্যবসায়ী, মা রূপালী রায় গৃহিণী। তিন বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। খেলার জন্য দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় কিছুদিন লেখাপড়া বন্ধ থাকে। এবার উন্মুক্ত স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেবেন।

মনে হল কিছু একটা করতে পেরেছি : হীরা মনি

প্রথমবার বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ইসলামী সলিডারিটি আর্চারি একক ইভেন্টে ফাইনালে ওঠার পরই মনে হচ্ছিল স্বর্ণপদক পাব। স্বর্ণপদক পাওয়ায় নিজের মনের মধ্যে অনুভূতি হচ্ছিল কিছু একটা করতে পেরেছি, এভাবেই জয়ের আনন্দ প্রকাশ করলেন ঠাকুরগাঁও-এর গৌরীপুরের মেয়ে হীরা মনি।

হীরা মনি আর্চারি খেলায় যুক্ত হন ২০১০ সালে। এর পেছনে রয়েছে একটি মজার গল্প। ঠাকুরগাঁও-এর বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের ছাত্রী হীরা মনি ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠে ঠাকুরগাঁও জেলা স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেন। কিন্তু ভর্তি হতে পারলেন না। তার খালার একজন প্রতিবেশী বিকেএসপির শিক্ষার্থী। খালা তাকে বিকেএসপিতে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। খালাতো বোন রাবেয়া আক্তার রিতা বললেন, আর্চারি নামে নতুন একটা খেলা এসেছে। এই খেলাটা ভালো হবে। খালাতো বোন তাকে আর্চারিতে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেন। এছাড়া ওরও খেলাটা ভালো লাগল। এভাবেই আর্চারি খেলায় যুক্ত হলেন হীরা মনি।

এ প্রসঙ্গে হীরা মনি জানান, আর্চারি খেলায় প্রথম প্রশিক্ষণ নেন বিকেএসপির কোচ নূরে আলমের কাছে। এখানে এক বছর প্রশিক্ষণের পর জাতীয় দলে যান। জাতীয় দলে তার প্রথম কোচ ছিলেন ইংল্যান্ডের কোচ রিচার্ড। তার কাছে তিন-চার মাস প্রশিক্ষণ নেন। তিনি দেশে ফিরে গেলে ভারতীয় কোচ নিশীথ দাশের কাছে বছর খানেক আর্চারির ওপর প্রশিক্ষণ নেন। এরপর আবার বিকেএসপির কোচ নূরে আলমের কাছে প্রশিক্ষণ নেন। ২০১২ সালে তিনি জাতীয় দলে প্রথম খেলেন। এ বছরই আর্চারি একক ইভেন্টে রৌপ্যপদক ও মিশ্র ইভেন্টে ব্রোঞ্জপদক পান। ২০১৩ সালে অষ্টম বাংলাদেশ গেমসে আর্চারি মিশ্র ইভেন্টেও ব্রোঞ্জপদক পান। একই বছর তাইওয়ানের তাইপেতে ১৮তম এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে আর্চারি মিশ্র ইভেন্টে অংশ নিয়ে আশাপ্রদ ফল করতে পারেননি। ভারতের আসামের মেঘালয়ের শিলংয়ে অনুষ্ঠিত সাফ ইন্টারন্যাশনাল ২০১৬-তে মিশ্র ইভেন্টেও ভালো ফল হয়নি। কিন্তু ভালো ফল করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তারই সফলতা এবারের অর্জন।

হীরা মনির বাবা আলী আকবর ব্যবসা করতেন। মা শামসুন নাহার গৃহিণী। এবার তিনি বিকেএসপি থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন।

মেয়েদের নিয়ে আশাবাদী আমি : নিশীথ দাশ

কোচ, আর্চারি, জাতীয় দল

জাতীয় পর্যায়ে জেলা ভিত্তিক স্কুল-কলেজ পর্যায়ের ছেলেমেয়েদের আর্চারি ( রিকার্ভ, কম্পাউণ্ড) তৈরিতে কাজ শুরু করেন ২০০৪ সালে। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের জেলায় প্রশিক্ষণ দেন। সেখান থেকে বাছাই করে ঢাকায় নিয়ে আসেন। ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্যাম্প শুরু করেন। সেখানে এক বছর প্রশিক্ষণ দেয়া হয় মেয়েদের। ওখান থেকে রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে ছয় মাস এবং আর্চারি বাছাইকৃত মেয়েদের জাতীয় দলের অধীনে বিকেএসপিতে ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

রাদিয়া আক্তার শাপলা ও বিউটি রায় সম্পর্কে কোচ নিশীথ দাশ বলেন, শাপলা এবং বিউটি আমার কাছ থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নেয়। ২০১৫ সালে টঙ্গীতে ক্যাম্প শুরু হলে সেখানেও ওরা অংশ নেয়। দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ নেয়। শাপলা ইন্টারন্যাশনাল চাইল্ড আর্চারি ২০১৬ সালে স্বর্ণপদক এবং একই বছর বিউটি সাউথ এশিয়া আর্চারি রৌপ্যপদক পেয়েছে। আর্চারি মেয়েদের অনেক উন্নতি হয়েছে। জেলা পর্যায় থেকে বর্তমানে ৬০ থেকে ২০ জনকে বাছাই করা হয়েছে। মেয়েদের এই খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এতে তাদের উৎসাহ বেশি। শারীরিক ফিটনেস আছে। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েদের আর্চারি প্রশিক্ষণ দেয়ার চিন্তাভাবনাও রয়েছে। হ